তিলিপাড়ার এই বাড়ি স্থানীয় আগা বাড়ি নামেই পরিচিত। শোনা যায় উৎপলেন্দু বাবুর দাদু নগেন্দ্র পাল একসময় বাংলাদেশের বাসিন্দা ছিলেন সেখানেই জমিদারদের বিভিন্ন কাজে নিযুক্ত শ্রমিকদের তত্ত্বাবধান করতেন। পালকির আগে আগে চলতেন বলেই জমিদারদের দেওয়া উপাধি আগা।
তবে উৎপলেন্দুবাবু ছোট থাকাকালীন তাঁর বাবা প্রবোধরঞ্জন পালের হাত ধরে শান্তিপুরে আসা। বাবার সঙ্গে ইংরেজদের সুসম্পর্কের কারণে তিনি আসামসহ দেশের বাইরে ইমারতী ব্যবসায়ী হিসাবে সুপ্রসিদ্ধ হয়ে ওঠেন অল্পদিনের মধ্যেই। ছেলে উৎপলেন্দুকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে পাঠান ইউনাইটেড কিংডমে। যদিও সেখানেই সু প্রতিষ্ঠিত হয়ে তিনি বিবাহ করেন সে দেশের মেম।
advertisement
চাকুরিরত সময়কালের মধ্যে কয়েক বছর বাদে বাদে কলকাতায় বাগবাজারের বাড়ি চট্টগ্রামের জমি জমা সম্পত্তি এবং শান্তিপুরের এই বাড়িসহ নতুনহাট, ডাকঘর এলাকায় তাদের বিষয় সম্পত্তি দেখাশোনা করা এবং সেই সঙ্গে এই দুর্গা পুজোর আয়োজন করতেন মাঝে মাঝে। তবে অবসর গ্রহণের পর প্রায় প্রত্যেক বছরই তিনি এই দুর্গা পুজোতে আসেন। কাটিয়ে যান দীর্ঘ সময়। থাকেন কালীপুজো পর্যন্ত।
মেয়ে, জামাই, দু নাতনি নিয়ে আসা উৎপলেন্দু পাল জানান, তাঁর ঠাকুরদা নগেন্দ্র পাল এই বাড়িতে দুর্গা পুজোর সূচনা করেন। ছোটবেলায় এই বাড়িতে পুজোর কটা দিন এক ১৫০ পরিবার সদস্যদের ভিড় থাকত। ঠাকুরদালানের বয়স ৮২ বছর। কিন্তু দুর্গা বা কালি দুই পুজোই শতাব্দী প্রাচীন। মোট কথা এবার পুজো কিন্তু চুটিয়ে উপভোগ করছেন তাঁরা।