তবে স্বস্তির খবর, এই যে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাব বাংলায় তেমন একটা পড়বে না বলে জানা যাচ্ছে। সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ। দেখে মনে হয় যেন ভোরের সকালে মাঝে মাঝে ঝির ঝির বৃষ্টি হচ্ছে। রাস্তা ঘাট অনেকটাই সুনসান, শেষ সময়ে চাষীদের ব্যস্ততা ফসল ঘরে তোলার। কিন্তু কতটা ফসল তুলতে পারবে তানিয়ে অনেকটাই অনিশ্চয়তায় চাষীরা। এমনিতেই গত এক বছরে একের পর এক শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে অনেকটাই ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে চাষীদের। আবারও অকাল সময়ে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় জেওয়াদ ইতিমধ্যে দুশ্চিন্তায় ফেলেছে চাষীদের। নদিয়া জেলার বিভিন্ন প্রান্তের ধান চাষীরা ধান কাটা শুরু করে দিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ আছড়ে পড়ার আগেই। একাংশ ধান চাষীদের দাবি, এখনো অনেক ধান পাকা শুরু করেনি, কিন্তু কাটতে তারা বাধ্য হচ্ছেন। এই মুহূর্তে ধান যদি কেটে না নেওয়া যায় আবারও বড়োসড়ো ক্ষতির মুখে পড়তে হবে তাদের। এমনিতেই অনেক ধান চাষী ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে ধান চাষ করে থাকেন, এরপরেও যদি বড়োসড়ো ক্ষতি হয় তাহলে আর ঋণ শোধ করতে পারবেন না চাষিরা।
advertisement