এই ভাবে বেশ কিছুদিন চলার পরেই ওই ব্যাঙ্কের কর্মীরা প্রতিদিনের মতো ব্যাঙ্কে গিয়ে দেখেন তালা লাগিয়ে চম্পট দিয়েছেন ব্যাঙ্কের মালিক স্বপন বিশ্বাস। এই কথা জানাজানি হতেই মাথায় হাত পড়েছে এই অসহায় মানুষগুলোর। কারও ২৫ হাজার, কারও ৩০ হাজার, কারও বা ৭৫ হাজার টাকা জমে ছিল ব্যাঙ্কের বইয়ে।
এদিন সকাল হতেই তারা পৌঁছে যায় বহিরগাছিতে। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন এই রকম বহু মানুষকে পথে ভাসিয়ে আনুমানিক প্রায় ১২ কোটি টাকা নিয়ে গায়েব হয়ে গিয়েছে এই ব্যাঙ্কের মালিক স্বপন বিশ্বাস। তাঁরা এও অভিযোগ করেন অভিযোগ, স্বপন বিশ্বাস ভারতের নাগরিক নন। তাঁর কাছে ভারতের ভোটার কার্ড বা আধার কার্ড কিছুই ছিল না। বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসে রাজস্থানে গিয়ে হাতুড়ে ডাক্তারি করতেন।
advertisement
প্রতিবেশীদের কাছে থেকে জানা যায় রাজস্থানেও মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করার ফলে ওখানকার মানুষের হাতে মার খেয়ে স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে বহিরগাছিতে পালিয়ে এসে মেয়ের নাম দিয়ে তৈরি করে বসে লিটা গ্রামীণ উন্নয়ন নিধি লিমিটেড ব্যাঙ্ক। আরও জানা যায় স্বপন বিশ্বাসের প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা পাননি তাঁর আত্মীয়-স্বজনরাও। এদিন সকালে প্রতারিত হওয়া কিছু মহিলা ওই ব্যাঙ্কের এজেন্ট মমতা বারুই এর বাড়ি ঘেরাও করে। মমতা বারুই বলেন সবাই মিলে এক সঙ্গে স্বপন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এখন দেখার তাদের তিল তিল করে জমানো ওই কষ্টের টাকা তারা ফেরত পান কিনা।