মুর্শিদাবাদের সুতি-২ ব্লকের উমরাপুর পঞ্চায়েত এলাকার এলাহাবাদ গ্রামে খাটিয়া একমাত্র হয়ে উঠছে ভরসা। এই গ্রামে যাওয়ার প্রধান রাস্তা একেবারে বেহাল। তার জেরে গ্রামে আসে না অ্যাম্বুল্যান্স বা অন্য কোনও গাড়ি। তাই রোগীকে বাধ্য হয়ে খাটিয়ার মাধ্যমে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হচ্ছে। চারজন ঘাড়ে করে খাটিয়াতে চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মুমূর্ষু রোগীকে।
advertisement
যদিও উমরাপুর পঞ্চায়েত প্রধানের দাবি, গত দুই বছর আগে প্রায় ২৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করে ওই গ্রামে দেড় কিলোমিটার রাস্তা মেরামতি করা হয়েছিল। কিন্তু এই বছর অতি ভারী বৃষ্টি ও পাশেই একটি ইটভাটার কাজ চলছে। তার জন্য এতো পরিমাণ ট্রাক্টর এই রাস্তার উপর দিয়ে চালানো হয়েছে তার জন্য রাস্তা করুণ দশায় পরিণত হয়েছে। ব্লক প্রশাসন ও পঞ্চায়েত সমিতির সঙ্গে কথা বলে অবিলম্বে রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই কংক্রিটের রাস্তা নির্মাণ হয়েছিল প্রায় ৩-৪ বছর আগে। পঞ্চায়েত প্রধান রাবিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, ২০২০-২১ সালে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের তহবিল এবং মহাত্মা গান্ধি জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা প্রকল্প (MGNREGA)-এর মাধ্যমে রাস্তাটি তৈরি করা হয়েছিল। তবে চলতি বছর বর্ষাকালে ঝাড়খণ্ড থেকে জল ঢুকে গ্রামে জলবন্দি অবস্থার সৃষ্টি হয়, যার প্রভাবে রাস্তার ব্যাপক ক্ষতি হয়। যদিও গ্রামের বাসিন্দের অভিযোগ, তাঁদের নিত্যদিন খাটিয়া ভরসা করেই রোগীদের নিয়ে যেতে হয়। পঞ্চায়েতের কোনও রকম হেলদোল থাকে না।