মুর্শিদাবাদ এমনিতেই আর্সেনিক প্রবণ জেলা। এই জেলার বহু মানুষ আর্সেনিক আক্রান্ত হয়ে অতীতে মারা গিয়েছেন, এখনও বহু মানুষ আর্সেনিকে ভুগছেন। বিশেষজ্ঞরা বারবার বলেছেন, মুর্শিদাবাদের প্রতিটি গ্রামে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়াটা অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু ফরাক্কার বেওয়া-২ পঞ্চায়েতের তিলডাঙা গ্রামে এলেই বোঝা যাবে বাস্তব ছবিটা কতটা উল্টো। গ্রামের প্রায় সবকটি টিউবওয়েল খারাপ হয়ে পড়ে আছে, সারানোর নামগন্ধ নেই। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এই টিউবওয়েল সারানোর বিষয়ে বারবার পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে দরবার করলেও কোনও লাভ হয়নি।
advertisement
আরও পড়ুন: কুমির বাঁচাতে বন বিভাগের উদ্যোগে সামিল বিদেশি পর্যটকরা
গ্রামে কোনঐ পরিশ্রুত পানীয় জলের উৎস না থাকায় বাধ্য হয়ে পাশের গ্রামের একমাত্র টিউবয়েলে জল আনতে যেতে হচ্ছে গ্রামবাসীদের। সেইসঙ্গে গ্রামে জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই বলেও জানিয়েছেন বাসিন্দারা। এই বিষয়ে তাঁরা একটি মারাত্মক অভিযোগ এনে বলেন, প্রতি বছর পঞ্চায়েত গ্রামে পানীয় জলের বন্দোবস্ত ও জল নিষ্কাশন ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য টাকা পায়। কিন্তু কাজ না করে ভুয়ো বিল জমা দিয়ে পঞ্চায়েতের কর্তারা সেই টাকা আত্মসাৎ করেন। এই পরিস্থিতিতে ভোট বয়কটের ডাক দিয়ে বেওয়া গ্রামের মানুষের বক্তব্য, কাজ না হলে কোনও ভোট নয়।
কৌশিক অধিকারী