আরও পড়ুন: নদীর জলে দুর্গন্ধ, ছড়াচ্ছে চর্মরোগ! রাস্তা খুঁজতে সবুজ মঞ্চের প্রতিনিধিরা হাজির গ্রামে
এই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যে সমস্ত রোগীরা চিকিৎসা বা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে আসেন তাঁদের কথায়, এখানে এক সময় ভাল পরিষেবা থাকলেও এখন অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। রোগীরা জানান, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাশে দীর্ঘদিন ধরে নোংরা ফেলা হয়। কোনও বাউন্ডারি না থাকায় আশেপাশের মানুষজন জায়গাটাকে আবর্জনার স্তূপ বানিয়েছে। বেশি সমস্যা হলে তাঁদের কান্দি বা বড়ঞা যেতে হয়। বেশ কয়েক বছর আগে এখানে বেডের ব্যবস্থা ছিল। সে কারণে দিবারাত্রি পরিষেবা পাওয়া যেত। কিন্তু এখন আর সেই সুবিধা নেই। রোগীদের অভিমত, স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি বাউন্ডারি ওয়াল দিয়ে ঘিরে গেট তৈরি করে দিলে যত্রতত্র গাড়ি রাখা বন্ধ হবে।
advertisement
উল্লেখ্য রাস্তার উপর অবস্থিত এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিকে পার্কিং এরিয়া বানিয়ে ফেলেছে স্থানীয়রা। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য এই স্বাস্থ্য কেন্দ্র আসা অপর এক রোগী জানান, বর্তমানে চিকিৎসা পরিষেবা ঠিকই, আছে তবে বাইরে খুবই আবর্জনা এবং টোটো চালকদের দৌরাত্ম্য। এদিকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বাইরের পরিস্থিতি নিয়ে প্রচুর অভাব অভিযোগ থাকলেও সম্প্রতি ভেতরে রং করা হয়েছে। ভেতরের পরিবেশ যথেষ্ট পরিচ্ছন্ন। যদিও বাইরে থেকে দেখলে তা বোঝা যায় না। গুরুতর কিছু হলে স্থানীয়দের দশ কিলোমিটার দূরে কান্দি হাসপাতালে নয়তো অপরদিকে ৮ কিলোমিটার দূরে বড়ঞা হাসোতালে যেতে হয়। তাই এখানে পুনরায় রোগী ভর্তি সহ সম্পূর্ণ পরিষেবা চালুর দাবি উঠেছে।
এই প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদের কুলি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুল আজিজ জানান, বেডের ব্যবস্থা অনেকদিন থেকেই নেই। নোংরা আবর্জনাগুলো পারিপার্শ্বিক ব্যক্তিদের ফেলা। বাইরে থেকে অনেকে এসে বসে থাকে। সিকিউরিটির বালাই নেই। হাসপাতালের সামনে যে আবর্জনা রয়েছে সেগুলি মাসিক বা সাপ্তাহিকভাবে ডিসপোজ করা হলে ভাল হতো। তবে স্বাস্থ্য পরিষেবা যথেষ্ট ভাল বলে তিনি দাবি করেন। বর্তমানে প্রচুর রোগীও আসছে বলে জানান। বড়ঞার বিএমওএইচ সৌমিক দাস জানান, আউটডোরে চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে এমনকি স্বাস্থ্য পরীক্ষাগুলোও করা হয়। নিয়মিত চিকিৎসক বসেন, ওষুধ দেওয়ারও ব্যবস্থা আছে। নার্সিং স্টাফও আছে, তবে বিল্ডিংয়ের সমস্যা যে আছে তা তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন।
কৌশিক অধিকারী