প্রথমে পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডি, জেরার পর তিনজনকে গ্রেফতার করে সিআইডি। সিআইডি সূত্রে খবর, প্রাক্তন জেলা অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক পুরবী বিশ্বাস দে, করণিক অহনা মজুমদার ও টাইপিস্ট নিত্য গোপাল মাঝিকে গ্রেফাতর করা হয়। অহনা মজুমদার ইতিমধ্যেই অবসর নিয়েছেন। সিআইডি-র বহরমপুর অফিস থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করার পর কলকাতার ভবানী ভবনে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হবে বলে সিআইডি সূত্রে খবর।
advertisement
বহরমপুরের শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার হঠাৎই দুটি গাড়িতে সিআইডির একটি দল বহরমপুরের ডিআই অফিসে হানা দেয়। কিছুক্ষণের মধ্যে ওই অফিসের প্রাক্তন ডিআই, জঙ্গিপুরের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক এবং ২ জন করণিক পদমর্যাদার কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় বহরমপুরে সিআইডি-র জেলা অফিসে । প্রথমে শিক্ষা ভবনে সিআইডি-র ডিএসপি শিমুল সরকার বেশ কিছুক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করেন, তারপর সিআইডি ভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। সিআইডি সূত্রে খবর, ভবানী ভবনে পুলিশের শীর্ষকর্তাদের ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে ওই শিক্ষাকর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জানা গিয়েছে, নিয়ম বহির্ভূতভাবে শিক্ষক নিয়োগের ঘটনায় ওই ৫ জনের ভূমিকা ছিল। তাঁদের জন্য জেলায় শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রভাবিত হয়েছিল কী না, তা জানতে তৎপর হয় সিআইডি। বয়ানে অসঙ্গতি মিলতেই শুক্রবার বিকেলে তিনজনকে গ্রেফতার করে সিআইডি।
তদন্ত চলাকালীন গত ১৩ ফেব্রুয়ারি সিআইডির হাতে গ্রেফতার হন আশিস তেওয়ারি। আপাতত সিআইডি হেফাজতে রয়েছেন তিনি। বর্তমানে এই ঘটনায় গ্রেফতারির সংখ্যা ৪। ইতিমধ্যেই ধৃত প্রধান শিক্ষক আশিস তদন্তে সহযোগিতা করছেন না বলে দাবি করেছে সিআইডি। অন্য দিকে, তাঁর পুত্র ভুয়ো শিক্ষক অনিমেষ তিওয়ারি এখনও পলাতক, তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে সিআইডি। এই মামলায় ৩৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। তবে যে জাল নথির ভিত্তিতে অনিমেষকে নিয়োগ করা হয়েছিল, তা মুর্শিদাবাদের স্কুল পরিদর্শক অফিস থেকে লোপাট করা হয়েছে বলে তদন্তকারী সূত্রে খবর।
কৌশিক অধিকারী