পূর্ব ঘোষিত কর্মসুচী অনুযায়ী কংগ্রেস দলের পক্ষ থেকে মিছিল করে আসার সময়ে মিছিলকে বাঁধা দেয় পুলিশ। মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। আর তখনই পুলিশ বাঁধা দিলে অধীর চৌধুরীর সঙ্গে প্রথমে বাকবিতন্ডা তৈরি হয়, পরে ধস্তাধস্তি হয় পুলিশের। যার কারণে চুড়ান্ত বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। ভাগীরথী মিল্ক ইউনিয়নে বহু দুগ্ধ চাষি দুধ বিক্রি করে জীবিকা চালাতেন। তবে গত কয়েক বছরে ক্রমেই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে ভাগীরথী মিল্ক ইউনিয়ন। এর জেরে সমস্যায় পড়েছে দুগ্ধ চাষিরা। এরই প্রতিবাদে শুক্রবার দুপুরে ডেপুটেশন ও প্রতিবাদে সামিল হন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী ও কংগ্রেস নেতাকর্মীরা।
advertisement
এদিন মিছিল করে অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে দুগ্ধ চাষি ও কংগ্রেস নেতা কর্মীরা ভাগীরথীর সামনে গেলে, গেটের বাইরে তাঁদেরকে আটকে দেয় পুলিশ। কার্যত ব্যারিকেড সরিয়ে অধীর চৌধুরী সহ কংগ্রেস নেতা কর্মীরা ভাগীরথীর ভিতরে ঢোকেন। এই ঘটনায় প্রশাসনের ভুমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন,”তিল কে তাল করে এখানকার পুলিশ এবং এখানকার যিনি এমডি। এই প্রতিষ্ঠান চালানোর জন্য মুর্শিদাবাদ জেলার সঙ্গে যে সমস্ত দুগ্ধ চাষীরা দুধ দেয় এবং সেই দুধ থেকে দাম কেটে নেওয়া হয়। দুগ্ধ চাষীদের টাকাতে বেতন পান এখানের কর্মচারীরা। আজকে দুগ্ধ চাষীরা সংকটে তাই তাদেরকে নিয়ে এই স্মারকলিপি দেওয়ার কথা ছিল। অথচ এই সংস্থার জন্য যিনি এমডি তার সঙ্গে দেখা করতে গেলে পুলিশ আমাদের বাধা দেয়।”
এছাড়াও অধীর চৌধুরী বলেন,”এরা অপরাধী, খুনি, না ডাকাত। তারা নিজেদের সম্পত্তি রক্ষা করতে চাইছে, অন্য কিছু না। এখানে পুলিশের মস্তানি শুরু হয়ে গিয়েছে। এটা মুর্শিদাবাদ জেলার মিল্ক ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত তাদের এটা সম্পত্তি। এই গেট পর্যন্ত যাওয়ার অধিকার আমাদের আছে। আমাদের গ্রেফতার করুন, নাহলে গুলি চালান।” শেষে পাঁচ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল ভাগীরথী ইউনিয়নে গিয়ে স্মারকলিপি জমা দেন ম্যানেজিং ডিরেক্টরের কাছে।
কৌশিক অধিকারী