১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের সময় বহরমপুর ও কান্দির মেয়েরা স্বদেশি ও বয়কট আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন। মুর্শিদাবাদের কান্দিতে রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদির বাড়িতে প্রায় ৫০০ মহিলা ‘বঙ্গলক্ষ্মীর ব্রতকথা’ শুনিয়ে অরন্ধন করে বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদ করেছিলেন। মুর্শিদাবাদের মহিলা সমিতিগুলির মধ্যে ‘মুর্শিদাবাদ মহিলা রাষ্ট্রীয় সমিতি’ ছিল উল্লেখযোগ্য। মণিমালা দেবী ও মৃণাল দেবী সমিতির কাজে আত্মনিয়োগ করেছিলেন। নেতাজি সুভাচন্দ্র বসুর সঙ্গে মণিমালা দেবী ও মৃণাল দেবীর নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। ১৯৩৯-এর ৩১ জুলাই সুভাষচন্দ্র বসু এক চিঠিতে মৃণাল দেবীকে লিখেছিলেন, “মুর্শিদাবাদ জেলায় মহিলা সমিতির কাজ প্রসারলাভ করিতেছে জানিয়া আমি সুখী হইয়াছি। নারীসমাজে জাতীয়তার বাণী প্রচার করা বিশেষ প্রয়োজন এবং সেই কাজের জন্য মহিলা সমিতির ও মহিলা কর্মীর বিশেষ আবশ্যকতা আছে…”।
advertisement
আরও পড়ুন: গরু পাচারকাণ্ডে কেষ্টর জেলা থেকে ফের একশোর বেশি ভুয়ো অ্যাকাউন্টের সন্ধান
রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদির এই পরিবার থেকে স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যান্য নিদর্শন আছে। তাঁদের জন্যই মুর্শিদাবাদের কান্দি শহরে ইংরেজদের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছিল স্বাধীনতার লড়াই। কান্দির জেমো গ্রাম থেকেই বঙ্গলক্ষী ব্রত কথার মধ্যে দিয়ে সেই লড়াইয়ের সূচনা হয়। তাই দেশ স্বাধীন হওয়ার পরেও দেশের ৭৪ তম প্রজাতন্ত্র দিবসের দিনও অমলিন স্মৃতি বয়ে চলে কান্দির রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদির বাড়ির।
কৌশিক অধিকারী