প্রাচীন শাস্ত্র অনুসারে লাল সিঁদুর শক্তির প্রতীক। শাস্ত্র অনুযায়ী নারী হলেন শক্তি, সেই শক্তিকে সম্মান প্রদর্শনের জন্য সিঁদুরের ব্যবহার করা হত। হিন্দু ধর্মে বিশ্বাস করা হয়, স্ত্রী তার সিঁদুরের শক্তি দিয়ে স্বামীকে যে- কোনও বিপদের হাত থেকে বাঁচাতে পারেন। সেই প্রাচীনকাল থেকেই হিন্দু মহিলারা স্বামীর মঙ্গলকামনায় সিঁথিতে সিঁদুর পরে আসছেন। বিশ্বাস করা হয়, সিঁদুরের লাল রং শক্তি ও ভালোবাসাকে বহন করে।
advertisement
আরও পড়ুন: দশমীতে চলছে সিঁদুর খেলা! গোটা বীরভূমে উমা বিদায়ের সুর! দেখুন ভিডিও
শাস্ত্রমতের ঊর্ধ্বে উঠে সিঁদুর খেলা কোথাও গিয়ে দুর্গারূপী নারীদের আত্মশক্তির প্রকাশ। শক্তিরূপিনী মা দুর্গাকে সাক্ষী রেখে মেয়েরা যখন সদর্পে সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠে, একে অপরকে রাঙিয়ে দেয় টকটকে লাল সিঁদুরে, তখন রক্তিম আভায় ঢেকে যায় চারপাশ। এই লাল রঙ নারীর অন্তরাত্মার শক্তিকে জাগ্রত করে। নারী কারও অধীনে নয়, তার সত্ত্বা দাসত্বের বাঁধনে বাঁধা নয়, সে মুক্ত প্রাণশক্তির প্রতীক। সিঁদুরই তার স্ব-ক্ষমতায়ণের অস্ত্র, আর এই অস্ত্রেই সে সজ্জিতা।
কৌশিক অধিকারী