দেখা যায়, সেই একই ঘরে ভাবলেশহীন ভাবে তাঁর ছেলে সর্বেশ্বর দাস বসবাস করছেন। এই ঘটনায় পুলিশ তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। জানতে চেষ্টা করছে এটি খুন? না অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা? প্রতিবেশীদের দাবি, মা-ছেলে দু'জনেই কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। এবং কারও সঙ্গে এলাকায় মিশতেন না। সবাইকে অহেতুক গালাগালি করতেন। অবশ্য দিন তিনেক হল তাঁদের কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না বাড়ি থেকে।
advertisement
আরও পড়ুন: বিধানসভায় বসে অশ্লীল ভিডিও দেখছেন বিজেপি বিধায়ক? অবশেষে মুখ খুললেন যাদব লাল
হঠাৎই প্রচন্ড বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ বের হতে শুরু করে। তা বুঝতে পেরেই সাগরদিঘি থানায় খবর দেওয়া হয়। তারপর পুলিশ এসে তালা ভেঙে দেহ উদ্ধার করে। তবে ছেলে সর্বেশ্বর দাস অদ্ভুত ভাবে পুলিশকে দাবি করেন, কারা নাকি পচাগলা মৃতদেহ তাদের বাড়িতে ফেলে গিয়েছে , তাই সে পাহারা দিচ্ছিল। অবশ্য ওই বাড়িটি ভেতর থেকে তালাবন্ধ ছিল, পুলিশ তালা ভেঙে একজনকে জীবিত ও আরেক জনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: কলার গায়ে লেগে থাকে সুতোগুলি পেটে গেলে কী হয়? এগুলি কি খাওয়া উচিত? জানলে মাথা ঘুরে যাবে
সমগ্র ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মায়ের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
তবে এই ঘটনার প্রকৃত তদন্তের দাবি করেছেন এলাকার বাসিন্দারা। পাশাপাশি, মৃতদেহ বাড়িতে রাখার কারণ কী, তার তল্লাশি চালাচ্ছে সাগরদিঘি থানার পুলিশ।
কৌশিক অধিকারী






