জানা গিয়েছে, পেটের তাগিদে তামিলনাড়ুতে গিয়েছিলেন শ্রমিকরা৷ এর মধ্যে মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম ও বহরমপুরের আটজন ছিলেন৷ বীরভূমের রামপুরহাট থেকে গিয়েছিলেন বাকি আটজন৷ গত বুধবার তাঁরা রওনা দেন তামিলনাড়ুর উদ্দেশে৷ সেখানে তাঁদের জন্য যে বিপদ অপেক্ষা করছে, তা ভাবতেও পারেননি কেউই৷ কিন্তু অভিযোগ, তাঁদের পড়তে হয় অপহরণের ফাঁদে৷ বাড়িতে ফোন করে চাওয়া হয় মুক্তিপণ। তামিলনাড়ুতে পৌঁছেও বিপদের আঁচ পাননি তাঁরা৷ অভিযোগ, যুবকরা দেখেন, একটি গাড়ি তাঁদের জন্য অপেক্ষা করছে৷ তাঁরা ভাবেন, যেখানে কাজের জন্য যেতে হবে, সেখান থেকে পাঠানো হয়েছে৷
advertisement
শ্রমিক দীপু জানান, ‘‘কিছুক্ষণের মধ্যেই আমাদের ভুল ভাঙে৷ যুবকরা বুঝতে পারেন, তাদের অপহরণ করা হয়েছে৷ তাদের নিয়ে যাওয়া হয় সালেমে৷ সেখান থেকে শ্রমিকদের পরিজনকে ফোন করে মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ চাওয়া হয়৷ অপহরণ ও মুক্তিপণের কথা পুলিশকে জানান পরিবারের সদস্যরা৷’’ নবগ্রাম, বহরমপুর ও রামপুরহাট থানা তামিলনাড়ু পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে৷ যে নম্বর থেকে মুক্তিপণ চেয়ে ফোন এসেছিল, তার টাওয়ার লোকেশন দেখায় সেই রাজ্যের সালেমে৷ তামিলনাড়ু পুলিশ অভিযান চালায় অপহরণকারীদের ডেরায়৷ সেখান থেকেই উদ্ধার করা হয় সকল শ্রমিককে। পুরো অপারেশন চালাতে ছয় ঘণ্টা সময় লাগে৷ পাকড়াও করা হয়েছে দুষ্কৃতীদের৷ পরিযায়ী শ্রমিকেরা সিদ্ধান্ত নিয়ে তাঁরা তামিলনাড়ুতে কাজ না করে রাজ্যে ফিরে আসেন৷ তবে বর্তমানে বাড়ি ফিরে আসতে পেরে খুশি সকলেই।