সম্প্রতি ঐতিহাসিক মুর্শিদাবাদ জেলাকে ভাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী । তিনি ঘোষণা করেছেন মুর্শিদাবাদ জেলাকে তিনটে ভাগে ভাগ করা হবে । ইতিমধ্যেই মুর্শিদাবাদ নাম বজায় রাখা নিয়ে একাধিক সংগঠন পথে নেমেছেন। তবে এই মুর্শিদাবাদ জেলা ভাগ নিয়ে কী বলছেন বর্তমানের ছোটে নবাব রেজা আলি মির্জা ?
অতীতের মখসুদাবাদ থেকে আজকের মুর্শিদাবাদ নাম পরিবর্তনের ইতিহাস নিয়ে বিতর্ক আছে । একসময় বাংলা, বিহার, ওড়িশার রাজধানী ছিল মুর্শিদাবাদ । রাজস্ব আদায়ের ধারে ও ভারে মুঘল শাসকদের নিয়োজিত দেওয়ান মুর্শিদকুলি খান স্বাধীন নবাবের আসনে বসেই ঢাকা থেকে রাজধানী স্থানান্তরিত করেন মুর্শিদাবাদে । সুবে বাংলার ক্ষমতার ভরকেন্দ্র হয়ে ওঠে এই মুর্শিদাবাদ।
advertisement
আরও পড়ুন : চালের আকাশছোঁয়া দাম কমবে কবে, জানুন ব্যবসায়ীরা কী বলছেন
শুধু ভাগীরথী নদীর তীরে অবস্থিত হাজারদুয়ারিই নয়, মুর্শিদাবাদ জেলা বিখ্যাত মুর্শিদাবাদ সিল্ক, কাঁসার বাসন ও ছানাবড়া মিষ্টির জন্য। এই জেলায় এসেছেন বিদ্যাসাগর, বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সম্মেলনে এসেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, প্রশাসনিক কাজে এসেছেন বঙ্কিমচন্দ্র।
অবিরাম বয়ে চলা ভাগীরথী ও সংলগ্ন ভূখণ্ড মুর্শিদাবাদ নিয়ে আবেগপ্রবণ জেলাবাসী। কবি শৌরীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যর লেখা প্রবাসী, ভারতবর্ষ, মাসিক বসুমতী, দেশ ও অন্যান্য পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। কাশিমবাজারে ১৯০৭ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের প্রথম সম্মেলনে শিল্পী শৌরীন্দ্রনাথ সভামঞ্চ, তোরণসজ্জা, অলঙ্করণের দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন : ডেঙ্গি মোকাবিলায় মশক দমনে গাপ্পি মাছের শরণাপন্ন
তবে মুর্শিদাবাদ জেলাকে ভাগ করা নিয়ে ছোটে নবাব রেজা আলি মির্জা বলেন, " মুর্শিদাবাদ ঐতিহাসিক জেলা। এই জেলাকে ভাগ করলে ইতিহাস ভাগ হয়ে যাবে, ইতিহাস সম্পর্কে যা জানছে তা ভাগ হয়ে যাবে। জেলা ভাগ হলে আগামী দিনে পর্যটকরা কম আসবেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করে বলেন মুর্শিদাবাদকে ভাগ নয়, অক্ষত রাখুন।"





