তবে না, দুর্নীতি যেন পিছু ছাড়ছে না। ফের নতুন দুর্নীতি এল সামনে। এ বার ফের একটি ভাইরাল অডিও ঘিরে নতুন বিতর্ক দানা বেধেছে। একেবারে বিধায়কের বিরুদ্ধে উঠে এল ১ বা ২ লক্ষ না, ১৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ।
ফের ভাইরাল বড়ঞার বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহার। এসএসসি গ্রুপ-সি পদে চাকরির জন্য ১৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দিয়েছিল মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি পুরসভার অন্তর্গত ১৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বিনয় সাহা। তাঁর ছেলে প্রসেনজিৎ সাহার জন্য গ্রুপ সি পদে চাকরি জন্য টাকা দেওয়া হয় ২০১৯ সালে। সরাসরি নগদ অর্থ সাড়ে ১১ লক্ষ টাকা ও পাঁচ লক্ষ টাকা জীবন কৃষ্ণ সাহার স্ত্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট টাকা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তবে অডিও ভাইরালে পরে বিনয় সাহা জানান অডিওটি তাঁর।
advertisement
আরও পড়ুনঃ বই বিক্রি, প্যারা টিচার বদলির অভিযোগ! মুর্শিদাবাদের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের বিরুদ্ধে একাধিক পোস্টার
বিনয় সাহা বলেন, যে অডিও ভাইরাল হয়েছে সেই কথোপকথন আমারই। আমার সঙ্গে বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার কথা হচ্ছিল সেই কথোপকথনের অডিওই সেটি। আমি টাকা দিয়েছিলাম। আমাকেই উনি ফোন করেছিলেন বিষয়টা বলেছিলেন এবং আমার ছেলের চাকরির জন্যই এককালীন আমি ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়েছিলাম। তখন টাকাটা দিতে চাইছিল না সে কারণেই আমি বড়ঞার প্রাক্তন ব্লক সভাপতি গোলাম মুর্শেদ জর্জ ও হাসানুর জামান সঙ্গে কথা বলেছিলাম যে একটা পরামর্শ আমাকে দিন যাতে করে আমি টাকাটা ফেরত পায়।
এরপরই আমাদের ক্যামেরা পৌঁছেছিল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার কাছে তিনি প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন, আমি আগেও বলেছি ফের আবারও বলছি এই সমস্ত বিষয়ের সঙ্গে আমি কোনওভাবেই জড়িত নই। আমার আদর্শ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমি তাঁদের আদর্শে কাজ করি। বর্তমানে দিদির সুরক্ষা কবজ কর্মসূচি চলছে, সেই প্রোগ্রাম নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত। তাই এই সমস্ত বিষয় নিয়ে আমার সময় দেওয়ার মতো যথেষ্ট সময় নেই। এটা একটা চক্রান্ত। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জলঘোলা করার জন্যএই চক্রান্ত আমার বিরুদ্ধে।
কৌশিক অধিকারী