আজ নদীগর্ভে চলে যাওয়া হীরাঝিলের ভাঙা ইটের পরতে পরতে লুকিয়ে থাকা সিরাজের স্মৃতির খোঁজে এখনও বেশ কিছু পর্যটক আসেন প্রতি বছর। ধীরে ধীরে নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে প্রাসাদ। যদিও বর্তমানে বেঁচে আছে ইট, আছে সিরাজউদদৌলার অস্তিত্ব। কয়েক বছর ধরেই স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ হীরাঝিল সংরক্ষণের দাবিতে জনমত গঠনের চেষ্টা শুরু করেছিলেন। গত বর্ষায় ভগ্নস্তূপের কিছুটা অংশ ভেঙে পড়ে। এর পরই তৈরি হয় ‘হীরাঝিল বাঁচাও কমিটি’।
advertisement
আরও পড়ুন : শীতে ঘুরতে যাবেন হাজারদুয়ারি প্যালেসে? যাওয়ার আগে জেনে নিন নতুন নিয়ম
শুধু তাই নয়, ওই এলাকার শিশুদের জন্য ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছে নবাব সিরাজউদদৌলা মুক্ত বিদ্যালয়। যেখানে পড়াশোনার পাশাপাশি সিরাজের জীবন নিয়েও অবগত করা হয় পড়ুয়াদের। চলে নানা সামাজিক কাজ। নিজেদের ইতিহাস বাঁচিয়ে তোলার পাঠ দিচ্ছেন হীরাঝিল বাঁচাও নিয়ে আন্দোলনরত সমর্পিতা। তাঁর কথায়, একটি জেলার সমস্ত কিছুতেই যখন সিরাজকে জড়িয়ে, তাহলে কেন সিরাজের অস্থিত্ব টিকিয়ে রাখতে উদ্যোগ নেওয়া হবে না? কেনই বা মুর্শিদাবাদের মানুষ সিরাজকে স্মরণ করে বাঁচবেন না? কেনই বা ভাগীরথীর তীর বেঁধে সংরক্ষণ হবে না বাংলার শেষ স্বাধীন নবাবের প্রাসাদ? মুর্শিদাবাদ মানেই যে শুধু হাজারদুয়ারি প্যালেস না। বেচেঁ উঠুক হীরাঝিল জানুক সকলেই এই হিরাঝিলের কথা। ইচ্ছে ইতিহাসপ্রেমীদের।