এলাকার যুবক হুমায়ুন সেখ, আলতামাস কবির, কালাম শেখ, লালন শেখ, নেটা সেখরা তাঁর মৃতদেহ সৎকার করার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন(Murshidabad News)। গ্রামবাসী হুমায়ুন কবির জানান, "দীর্ঘদিন আগেই বাবা মারা যায় পালিনের। পরিবারের কেউ নেই। তাই আমরা সৎকারের কাজে হাত লাগিয়েছি। আমরা বহরমপুরে গঙ্গায় শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে যাচ্ছি। এই গ্রামে হিন্দু মুসলিম সকলেই আমরা ভাই ভাই। তাই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা দিতেই আমরা এগিয়ে এসেছি।"
advertisement
আবু বাক্কার সেখ জানান, "৯০ সালের আগে থেকেই তিনি এই গ্রামে থাকতেন। ওনার বাবা দীর্ঘদিন আগে মারা গিয়েছেন। কেউ নেই পরিবারে। তাই আমরাই এগিয়ে এসে সৎকারে হাত লাগিয়েছি। গ্রামবাসী সরমা দাস জানান, "হিন্দু মুসলিম সবাই শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে এগিয়ে এসেছে। গ্রামে আমরা সকলেই একসাথে থাকি। তাই একজন হিন্দু ভাই মারা যাওয়ায় দুই সম্প্রদায়ের মানুষই শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে এগিয়ে এসেছে।" খড়গ্রাম ব্লকের ইন্দ্রাণী গ্রামে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এই অনন্য নজিরকে কুর্নিশ জানিয়েছে সব মহল।
Koushik Adhikary