জানা যায়, একাধিক বিয়ে করার কারণে গ্রামের বাসিন্দারা রুখে দাঁড়ালেন অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে । যুবকের বিরুদ্ধে পরিবারের পক্ষ থেকে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ না করার কারণে গ্রামের বাসিন্দারা সিদ্ধান্ত নিয়ে যুবকের পরিবারকে একঘরে করে দিলেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে জলঙ্গি থানার বিলাসপুরে।
জুবায়ের মোস্তাক হরফে লিটলু জলঙ্গির বিলাপুরের বাসিন্দা। অভিযোগ, ১৫ বছর আগে তিনি প্রেম করে বিয়ে করেন এই গ্রামেরই বাসিন্দা নাজিরা বিবিকে । দু’জনের সুখের সংসার ভালভাবেই চলছিল। কিন্তু গত ৭ বছর আগে তাঁকে ছেড়ে অন্য এক মহিলাকে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে বিয়ে করেন জুবায়ের মুস্তাক। কিন্তু সেই বিয়ে টেঁকে না। বিয়ের কিছুদিন পরেই ২ লক্ষ টাকা জরিমানা দিয়ে মীমাংসা করতে হয়। এর দু’বছর পার হতে না হতেই বিলাসপুর গ্রামেরই দুই সন্তানের মাকে নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করেন। এই নিয়ে প্রথম পক্ষের স্ত্রী নাজিরা বিষয়টি থানায় জানান। কিন্তু সেখান থেকেও কোনও সমাধান পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ নাজিরার ।
advertisement
নাজিরা খাতুন জানান, ‘‘ দু’জন দু’জনকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলাম , আমাদের ১৩ বছর ও আড়াই বছরে দুটো কন্যাসন্তান রয়েছে । আমার স্বামী প্রথম থেকেই বিভিন্ন নেশা করে থাকতেন । বারণ করলেও কোনও কথাই শুনত না । নেশার পাশাপাশি, আমাকে রেখে দুটো বিয়ে করে । এদিকে পাঁচ বছর থেকে আমার সাথে জুলুম অত্যাচার চালাচ্ছে । তিন মাস থেকে স্বামীর সাথে কোনও যোগাযোগ নেই। অন্য এক মহিলাকে নিয়ে অন্য জায়গায় থাকেন । আর আমি থাকি আমার বাবার বাড়িতে। সেখানে খুবই কষ্টের মধ্যে দিয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে । আমি চাইছি আমাকে স্ত্রী-র স্বীকৃতি দিক।’’
গ্রামবাসীরা জানান, ‘‘ নাজিরা বিবি ও তার বাবার পরিবার খুবই ভাল। জুবায়ের মোস্তাক লিটলু প্রথম পক্ষের স্ত্রী নাজিরাকে নানা ভাবে অত্যাচার করে । এই বিষয়ে সমাধান করার জন্য আমরা অনেক বার তাদের সঙ্গে কথা বলেছি । তারা মোটেও এই বিষয়টাকে সমাধান করেনি । এই নিয়ে বিলাসপুর গ্রামের সমাজ দুই পরিবারের সমাধানের উদ্দেশে মাজলিশ বসে। কিন্তু জুবায়েরর পরিবারের কেউ আসেনি । ফলে ওই সালিশি সভা থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, জুবায়ের মোস্তাক লিটলু পরিবারের সঙ্গে সমাজ কোনও সম্পর্ক রাখবে না।’’
এই বিষয় নিয়ে মাইকিং করার সিদ্ধান্ত নেন , তারা মাইক প্রচারও করতে থাকে। ওই প্রচার করার সময় জলঙ্গি থানার পুলিশ এসে তুলে নিয়ে যায় কয়েকজন ব্যক্তিকে। পরে অবশ্য গ্রামসমাজের লোক জানান তাদের এক ঘরে করার প্রচার ভুল হয়েছে। এর পর আটক ব্যক্তিদের ছাড়িয়ে আনেন।