আরও পড়ুন: স্কুলে গেলেই বমি উঠে আসছে! এই কারণে ক্লাস থামিয়ে ছুটি দিয়ে দিল কর্তৃপক্ষ
মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ থানার সাইদাপুর পুরাপাড়া গ্রামে মৃত পূর্ণিমা সরকারের শ্বশুর বাড়ি। বছর ছয় সুব্রত সরকারের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। মৃত বধূর বাপের বাড়ি লালগোলার সারপাখিরা গ্রামে। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকেরা পূর্ণিমার উপর নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত। শনিবার সকালে ওই বধুর মৃত্যুর খবর জানাজানি হতেই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় স্বামী সুব্রত সরকার ও শ্বশুর পুষ্প সরকার। গ্রামবাসীরা দোষীদের কড়া শাস্তির দাবিতে মৃতদেহ আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
advertisement
পুলিশ এসে প্রথমে গ্রামবাসীদের বাধায় ওই বধূর দেহ উদ্ধার করতে পারেনি। এরই মধ্যে গ্রামের কয়েকজন পলাতক সুব্রত সরকার ও পুষ্প সরকারকে খুঁজে বের করে। তাদের নিয়ে এসে গ্রামের মন্দিরে আটকে রাখা হয়। এরপর পুলিশের সামনেই গণধোলাই চলে ওই দু’জনের। পরে পুলিশ কর্তাদের চেষ্টায় ওই বধূর দেহ গ্রামবাসীরা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠাতে রাজি হন। সেইসঙ্গে অভিযুক্ত স্বামী ও শ্বশুরকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পূর্ণিমা সরকারের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর স্বামী সুব্রত সরকার, শ্বশুর পুস্প সরকার ও শাশুড়ি অকুমারী সরকারের বিরুদ্ধে রঘুনাথগঞ্জ থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে মৃতার বাপের বাড়ির পক্ষ থেকে।
কৌশিক অধিকারী