TRENDING:

Murshidabad News: পাঁচ দিন নিখোঁজ থাকার পর দেহ উদ্ধার জ‌ওয়ানের

Last Updated:

গত ২৯শে জুন মণিপুরে ধসে নিখোঁজ হয়ে যায় মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম ব্লকের বালিয়া গ্রামের তরতাজা যুবক প্রীতম কুমার দত্ত।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#খড়গ্রাম: পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে ২০১৮ সালে সেনা বাহিনীতে যোগদান করেছিলেন খড়গ্রামের (Kharagram) দত্ত পরিবারের ছেলে প্রীতম। কর্মরত ছিলেন গোর্খা টেরিটোরিয়াল আর্মির ১০৭ নম্বর ব্যাটেলিয়নে। স্বপ্ন ছিল মা বাবার অপূর্ণ ইচ্ছে পূর্ণ করার। জানা গেছে, রেল বিভাগের কাজ চলছিল মণিপুরে (Manipur Accident)। সেই কাজেরই নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন প্রীতম কুমার দত্ত। কিন্তু গত ২৯শে জুন মণিপুরে ধসে নিখোঁজ হয়ে যায় মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম ব্লকের বালিয়া গ্রামের তরতাজা যুবক প্রীতম কুমার দত্ত। টানা পাঁচদিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর অবশেষে রবিবার সন্ধ্যায় পরিবারের কাছে খবর আসে প্রীতম দত্তের নিথর দেহ পাওয়া গিয়েছে। দেহ উদ্ধারের খবর বাড়িতে পৌঁছাতেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার জুড়ে।
জওয়ান প্রীতমের মৃত্যুতে শোকের ছায়া খড়গ্রামে 
জওয়ান প্রীতমের মৃত্যুতে শোকের ছায়া খড়গ্রামে 
advertisement

আরও পড়ুন Hooghly News: বেকাররা এই চায়ের দোকানে কাজ করলেই নাকি পেয়ে যান ভাল চাকরি!

খবরে প্রকাশ, নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা মোট ৪৩ জন জওয়ানের মধ্যে ইতি মধ্যেই ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি একাধিক সেনা আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন হাসপাতালে। গত ২৯শে জুন দুর্ঘটনার পর থেকেই কোনো খোঁজ ছিল না প্রীতম কুমার দত্ত সহ সাতজন সেনা জওয়ানের। অবশেষে দেহ মিলেছে প্রীতমের। সেই খবর বাড়িতে আসতেই কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনার দিনই রাত সাড়ে আটটা নাগাদ বালিয়া গ্রামে মা সোমা দত্তর সাথে শেষ কথা হয় প্রীতমের। তার পরেই ডিউটি জয়েন করেন প্রীতম। ঘটনার সময় এক বন্ধুর সাথে ফোনে কথা বলছিলেন প্রীতম। চোখের সামনেই ঘটা ধসের কথা তাঁকেও জানান প্রীতম। কিন্তু তার পর থেকেই খোঁজ ছিল না প্রীতমের, বন্ধ ছিল তাঁর মোবাইল ফোন।

advertisement

আরও পড়ুন West Bardhaman News : মাত্র ৭৮ দিনে ১০০ টি নতুন ইঞ্জিন তৈরি, চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার নতুন রেকর্ড

View More

কান্দি রাজা বীরেন্দ্র চন্দ্র কলেজের ভুগোল অর্নাসের ছাত্র ছিলেন প্রীতম। পড়াশোনা শেষ করে চাকরি পেতেই পরিবারে সচ্ছলতা ফিরে আসে।বাবা প্রভাত কুমার দত্ত, মুদির দোকান চালান। মা সোমা দত্ত গৃহবধূ। পরিবারের একমাত্র সন্তান প্রীতম কুমার দত্ত। ২০১৮ সালে সেনাবাহিনীতে যোগদানের পরেই ধীরে ধীরে পরিবারের সচ্ছলতা ফিরে আসে। গোটা গ্রামের প্রিয় পাত্র ছিলেন প্রীতম। তাঁর এই আকস্মিক মৃত্যুর পর গোটা গ্রাম জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দেহ ফিরে আসার অপেক্ষায় দিন কাটাচ্ছেন পরিবারের সদস্যরা।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
দিঘা যাওয়ার পথে নেগুয়া গ্রাম! এখানেই রয়েছে বঙ্কিমচন্দ্রের রহস্যময় ইতিহাস, জানুন
আরও দেখুন

কৌশিক অধিকারী

বাংলা খবর/ খবর/মুর্শিদাবাদ/
Murshidabad News: পাঁচ দিন নিখোঁজ থাকার পর দেহ উদ্ধার জ‌ওয়ানের
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল