আরও পড়ুন Hooghly News: বেকাররা এই চায়ের দোকানে কাজ করলেই নাকি পেয়ে যান ভাল চাকরি!
খবরে প্রকাশ, নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা মোট ৪৩ জন জওয়ানের মধ্যে ইতি মধ্যেই ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি একাধিক সেনা আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন হাসপাতালে। গত ২৯শে জুন দুর্ঘটনার পর থেকেই কোনো খোঁজ ছিল না প্রীতম কুমার দত্ত সহ সাতজন সেনা জওয়ানের। অবশেষে দেহ মিলেছে প্রীতমের। সেই খবর বাড়িতে আসতেই কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনার দিনই রাত সাড়ে আটটা নাগাদ বালিয়া গ্রামে মা সোমা দত্তর সাথে শেষ কথা হয় প্রীতমের। তার পরেই ডিউটি জয়েন করেন প্রীতম। ঘটনার সময় এক বন্ধুর সাথে ফোনে কথা বলছিলেন প্রীতম। চোখের সামনেই ঘটা ধসের কথা তাঁকেও জানান প্রীতম। কিন্তু তার পর থেকেই খোঁজ ছিল না প্রীতমের, বন্ধ ছিল তাঁর মোবাইল ফোন।
advertisement
কান্দি রাজা বীরেন্দ্র চন্দ্র কলেজের ভুগোল অর্নাসের ছাত্র ছিলেন প্রীতম। পড়াশোনা শেষ করে চাকরি পেতেই পরিবারে সচ্ছলতা ফিরে আসে।বাবা প্রভাত কুমার দত্ত, মুদির দোকান চালান। মা সোমা দত্ত গৃহবধূ। পরিবারের একমাত্র সন্তান প্রীতম কুমার দত্ত। ২০১৮ সালে সেনাবাহিনীতে যোগদানের পরেই ধীরে ধীরে পরিবারের সচ্ছলতা ফিরে আসে। গোটা গ্রামের প্রিয় পাত্র ছিলেন প্রীতম। তাঁর এই আকস্মিক মৃত্যুর পর গোটা গ্রাম জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দেহ ফিরে আসার অপেক্ষায় দিন কাটাচ্ছেন পরিবারের সদস্যরা।
কৌশিক অধিকারী