মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গিতে একটি মিষ্টির দোকানে দুধকে ভাল করে ফুটিয়ে ক্ষীর বানিয়ে তারপর প্রস্তুত করা হয় এই দই। মাটির হাঁড়িতে তৈরির পর এই দই তৈরি করে বিক্রি করা হয়। শুধু দোকানেই না, জেলার বিভিন্ন প্রান্তে যায় এই ক্ষীর দই।
advertisement
কথায় বলে, বাঙালি মানে মিষ্টিপ্রেমী। পুজো থেকে শুরু করে ছোটখাটো অনুষ্ঠানে মানুষ মিষ্টিকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে। বাঙালি খাদ্যরসিক তালিকায় বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি রয়েছে রসগোল্লা, পান্তুয়া, ও বিভিন্ন ধরনের দই।লাল দই বড়ই প্রিয় বাঙালির। যে কোনও শুভ অনুষ্ঠানে লাল দই-রসগোল্লা থাকবেই। বাংলার বাইরেও জনপ্রিয় এই লাল দই। তবে বাংলার নবদ্বীপের লাল দই এর খ্যাতি জগৎজোড়া। যে একবার এই দই খেয়েছে সে তার স্বাদ কোনও দিন ভুলতে পারবে না। তাই এবার নবদ্বীপের ক্ষীর দই তৈরি করছেন এখন জলঙ্গিতে। এই দইকে ক্ষীর দইও বলা হয়।
আরও পড়ুন : গাছ তো নয়, যেন অমৃতের ভাণ্ডার! সর্বরোগ হরণ করে হিমালয়ের এই ভেষজ
শুধুমাত্র এই দই এর টানেই প্রচুর মানুষ এখানে আসছেন মুর্শিদাবাদ জেলাতে। দই বিক্রেতাদের কথায়, ৭-৮ ঘণ্টা ধরে দুধ ফুটতে থাকে। আর এই দুধ ফুটে কিছুটা কমে এলে এর মধ্যে আবার আগের দুধ মেশানো হয়। এভাবে দুধ ঘন করে কমিয়ে একেবারে ৪০ শতাংশ করে ফেলা হয়। দুধের রং হলদেটে হলে তখন দুধের ঘনত্ব দেখা হয়। প্রয়োজন মতো চিনি মিশিয়ে ঘন করে ক্ষীর তৈরি করা হয়। ঘন ক্ষীর তৈরি হলে দুধ নামানো হয়। সাধারণ মিষ্টি দইয়ের থেকে একেবারেই আলাদা স্বাদ। মিষ্টির ভাব একটু বেশি তবে মুখে দিলে সঙ্গে সঙ্গে মিলিয়ে যায়।