কাগ্রাম একটি প্রাচীন গ্রাম। ২৯ টি পাড়ার এই গ্রামে বর্তমানে মোট ২৭টি পুজো হয় যার ৪০ শতাংশ সংখ্যালঘু অধ্যুষিত। বর্তমানে ১২টি পুজো পারিবারিক এবং ১৫টি সর্বজনীন জগদ্ধাত্রী পুজো হয়। তবে এখানে চারদিন ধরে পুজো হয় না। পুজো চলে মাত্র দুদিন। পঞ্জিকা মতে একই দিনে সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীর পুজো হয় আর পরের দিন দশমীর পুজো। তবে গ্রামে ভিড় হতে শুরু করে আলোকসজ্জা দেখার জন্য। আলোকসজ্জায় ফুটে উঠেছে বুর্জ খালিফা থেকে সিদ্ধিদাতা গণেশ, দক্ষিণেশ্বর মন্দির।
advertisement
বাড়ির পুজোর মধ্যে পালবাড়ির পুজো পুরাতন রীতিনীতি মেনে অনুষ্ঠিত হয়। দক্ষিণপাড়া সাহাপাড়ার মণ্ডপ, পশ্চিম পাড়া সার্বজনীন, তাঁতি পাড়া সর্বজনীন, রায়পাড়া সর্বজনীন, উত্তরপাড়া বাজার পাড়া সর্বজনীন পুজো নিজ নিজ বৈশিষ্ট্যে সমুজ্জ্বল।
আরও পড়ুন – ঢুকছে পশ্চিমীঝঞ্ঝা! বদলে যাবে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া, বৃষ্টির দাপটে হবে তোলপাড়
এই গ্রামের বেশিরভাগ পুজো দুই শতাধিক বছরেরও বেশি পুরাতন। শাক্ত এবং বৈষ্ণব দুই মতেই এই গ্রামের পুজোগুলি হয়ে থাকে। এই গ্রামে এখনও তার ব্যতিক্রম হয় না। এখনও পুজোর দু’দিন গ্রামে মেলা বসে। অনুষ্ঠিত হয় নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। যাত্রাপালা নাটক ইত্যাদি, পুজো শেষে প্রতিমা নিরঞ্জন হয়, একসাথে বসবাসকারী গ্রামের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষরাও এই পুজোয় আনন্দ উপভোগ করে। বেলজিয়ামের ঝাড়ের আলো এখন আর নেই তার জায়গায় এসেছে নতুন এলইডি লাইট তবে ঠাকুরের কোনো থিম হয় না।