কথিত আছে, ৪০০ বছরেরও বেশি সময় আগে এই দুর্গাপুজোর সূচনা হয়। সেই সময় বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার আর্থিকভাবে সম্পন্ন ছিল। কথিত আছে, দুর্গাপুজোর জন্য এক দরিদ্র ব্রাহ্মণকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। স্ত্রী ও একমাত্র কিশোরী মেয়েকে নিয়ে বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের মন্দিরের পাশে থাকতেন সেই পুরোহিত। কোনও এক বার সন্ধিপুজোর সময় পুরোহিতের মেয়ে পুজোর উপচার তৈরি করছিল, সেই সময়ে হঠাৎই সে নিখোঁজ হয়ে যায়। পরে অবশ্য দেবীর নির্দেশ মতো কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ প্রতিমা নিরঞ্জনের মুহূর্তেই সাফ কাঠামো, পরিবেশ রক্ষায় তৎপর বহরমপুর পুরসভা
সেই থেকে বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের দেবী পেটকাটি দুর্গা নামে পরিচিত। ক্রমে সেই গল্প লোকমুখে ছড়িয়ে পড়ে। এখনও দেবী প্রতিমার মুখে এক টুকরো কাপড় লাগানো থাকে। পায়ে বাঁধা থাকে শেকল। সেই প্রাচীন রীতি মেনে প্রতিমা তৈরির সময় কেটে রাখা হয় পেট। মুখে আটকানো শাড়ির আঁচল। ঘটনার পুনরাবৃত্তি আটকাতে সেই থেকেই দেবীর পায়ে প্রতীকী শেকল পরানো থাকে।
আরও পড়ুনঃ দৈত্যের মতো ছুটে এল ট্রেন! ছিন্নভিন্ন ৩ কিশোর! একাদশীর রাতে উলুবেড়িয়ায় হাহাকার
দশমীর দিনে পুজো সম্পন্ন হতেই একাদশী দিনে প্রতিমা নিরঞ্জন পর্ব চলে একাদশী দিনে। রঘুনাথগঞ্জ ও জঙ্গিপুর ভাগীরথী নদীর তীরে দর্শনার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। জঙ্গিপুর শ্মশানঘাটে নিরঞ্জন পর্ব করা হয়। বনাঢ্য বাইচ করে নিরঞ্জন পর্ব দেখতে ভিড় জমান বহু সাধারণ মানুষ ।
কৌশিক অধিকারী