দাদার কাছে যাওয়া তো হলই না, বর্তমানে নিখোঁজ সে। পরিবারের সদস্যরা যখন জানতে পারে রেল দুর্ঘটনার কথা তখন থেকেই ফোন করলেও আর ফোনে পাওয়া যায়নি কিশোরকে। বারবার ফোনের রিং বেজে গেলেও তা কেউ তুলছে না। আর তারপরেই বাড়িতে নেমে আসে কান্নার রোল। বর্তমানে পরিবারের সদস্যরা রওনা দিয়েছেন বালেশ্বরের উদ্দেশে। যদি তাদের হারুন বাদশাকে খুঁজে পাওয়া যায় সেই আশায়।
advertisement
সূত্রের খবর, ট্রেন দুর্ঘটনার সময় বাথরুমে ঢুকেছিল সেই কিশোর। তারপর আর বাথরুম থেকে বের হল না সে। মিলছেও না খোঁজ। এখন কি অবস্থায় হারুন? উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়েই দিন কাটাচ্ছে পরিবার। তবে ঐ ট্রেনেই ছিলেন তার মেসোমশাই। তিনি বর্তমানে সুস্থ আছেন বলেই জানিয়েছেন পরিবারকে।
মা আসিয়া বিবি বলেন, ছেলের ফোন বাজছে, অনরগল রিং বেজে গেলেও কিন্তু ফোন ধরছে না কেউ। সুতির সাহাজাদপুর এলাকার এই কিশোর, করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার শিকার এবং সে বর্তমানে নিখোঁজ তিনি। তাঁকে দেখার জন্য উৎকণ্ঠায় পরিবার। এখনও মেলেনি কোনও খোঁজ। ঘটনায় শোকস্তব্ধ এলাকা। সুতির এই কিশোরের বাড়িতে ভিড় করেছেন স্থানীয়রা।
কৌশিক অধিকারী