রাজ্যস্তরে তিনটি বিভাগেই প্রথম হয় জাতীয় স্তরে খেলার ছাড়পত্র পেয়েছেন।নদিয়ার কৃষ্ণনগরে ৩৭ তম পশ্চিমবঙ্গ মাস্টার্স অ্যাথলেটিকস মিট এর আয়োজন করা হয়। অনূর্ধ্ব ৩৫ বছরের মহিলা গ্রুপ এ তিনটি ইভেন্টে অংশগ্রহণ করেন মালদার তনুশ্রী লালা। এর আগেও জাতীয় ও রাজ্য স্তরের একাধিক পদক পেয়েছেন তিনি। সবটাই সম্ভব হয়েছে স্বামী সুব্রত লালার ইচ্ছায়। স্ত্রীকে তিনি কখনও বাধা দেননি। মালদহ শহরে বেসরকারি একটি সংস্থায় কাজ করেন সুব্রত লালা। স্ত্রী তনুশ্রী লালা গৃহবধূ। পরিবারে রয়েছে দুই ছেলে। তনুশ্রীর বড় ছেলে বর্তমানে কলেজ ছাত্র। ছোট ছেলে নবম শ্রেণীর পড়ুয়া। ছেলেদের পড়াশোনা ও সংসার সামলে যেটুকু সময় পান মাঠে গিয়ে অনুশীলন করেন তনুশ্রী।কোন দিন সকালে কোন দিন বিকেলে। কখনো মালদহ বিমানবন্দর আবার কোনদিন মালদহ রেলওয়ে ময়দানে অনুসরণ করতে চলে যান তনুশ্রী লালা। এখন তার লক্ষ্য জাতীয় স্তরে সাফল্য। তনুশ্রী লালা বলেন, "ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলার প্রতি আমার ঝোঁক। ইচ্ছে ছিল পুলিশের চাকরি করব। তবে পরিবারের সম্মতি না থাকায় তা হয়ে ওঠেনি। ছোটবেলা স্কুল স্তরে অনেক খেলাধূলা করেছি, তারপর বিয়ে হয়ে যায়, বন্ধ হয়ে যায় সবকিছু। পরে স্বামীর ইচ্ছায় আবার মাঠে ফিরি। নিয়মিত অনুষ্ঠান করে এখন প্রাপ্তবয়স্কদের একাধিক ইভেন্টে রাজ্য জাতীয় স্তরে অংশগ্রহণ করি। আমার ভালো লাগে, তাই মাঠেই থাকতে চাই"
advertisement