ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের বামনগোলা থানার মালডাঙা এলাকায়। মৃত মামনি রায়(২৫) ওই গ্রামেরই বাসিন্দা। এই ঘটনায় ওড়িশার কালাহান্ডির ঘটনার কথা মনে পড়ছে অনেকের৷ সেখানে টাকার অভাবে স্ত্রীর মৃতদেহ কাঁধে করে নিয়ে যেতে হয়েছিল স্বামীকে৷ এ বছরের শুরুতেই উত্তরবঙ্গেরই জলপাইগুড়িতে মায়ের মৃতদেহ কাঁধে হাঁটতে দেখা গিয়েছিল ছেলেকে৷ তার পরেও একই ধরনের ঘটনা ঘটল মালদহে৷
advertisement
জানা গিয়েছে, গত দু-তিন দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন মামনি। শুক্রবার দুপুরে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। বামনগোলা থানার গোবিন্দপুর মহেশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মালডাঙা গ্রাম অত্যন্ত এলাকা বলে পরিচিত।
দীর্ঘদিন ধরেই গ্রামের রাস্তা বেহাল। গত দু’ মাস আগে বর্ষায় এই গ্রামের রাস্তা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়টা। এখনও পর্যন্ত সেই রাস্তা মেরামত হয়নি। রাস্তার যা হাল তাতে অ্যাম্বুলেন্স বা কোনও যানবাহন গ্রামে ঢোকে না। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য মামনির পরিবারের সদস্যরা প্রায় এক ঘণ্টা ধরে টোটো খোঁজারও চেষ্টা করে৷ কিন্তু কোনও টোটোই বেহাল রাস্তায় যেতে রাজি হয়নি বলে অভিযোগ৷
এই অবস্থায় অন্য কোনও উপায় না পেয়ে মুমূর্ষু রোগীকে খাটিয়ায় তুলে গ্রামের মেঠো পথ পেরিয়ে হাসপাতলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয়। পরিবারের লোকজন মামনিকে খাটিয়ায় শুইয়ে ঘাড়ে তুলে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। গন্তব্য ছিল বামনগোলার মোদিপুকুর গ্রামীণ হাসপাতাল। কিন্তু, বেহাল রাস্তা পেরিয়ে হাসপাতালে পৌঁছতে অনেকটা দেরি হয়ে যায়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই ঘটনা সামনে আসার পরই সরব হয়েছে বিজেপি। বেহাল রাস্তা নিয়ে রাজ্য ও স্থানীয় প্রশাসনকে কার্যত তুলোধোনা করেছেন বিজেপি নেত্রী বীনা চৌধুরী। রাজ্য সরকার পথশ্রী প্রকল্প হাতে নেওয়ার পরেও কেন গ্রামীন রাস্তায় অ্যাম্বুলেন্স ঢুকতে পারবে না, সেই প্রশ্নই তুলেছে বিজেপি।