মালদহ জেলার হরিশচন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত হরিশ্চন্দ্রপুর হাইস্কুলের পেছনে মহুয়া পাড়ায় কুল চাষ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা নাজিমা বিবি। এই কুল চাষের ওপর তাদের জীবন জীবিকা নির্ভর করে। ফল যাতে নষ্ট না হয় তার জন্য সমগ্র গাছ জাল দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। সে ক্ষেত্রে পাখিদের হাত থেকে বা ঝড় বৃষ্টি হলেও ফল নষ্ট হবে না। কিন্তু শীতের শেষের দিকে সেখানে ভিড় জমিয়েছিল বিভিন্ন জাতের পরিযায়ী পাখি। আর সেখানেই ঘটে বিপত্তি। জালে আটকে মৃত্যু হয় বহু পরিযায়ী পাখির। এতগুলো পাখির এক সাথে মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। পাখি প্রেমীদের মত, চাষ এমনভাবে করতে হবে যাতে এই ভাবে পাখি না মারা যায়। পাখি প্রেমী স্থানীয় বাসিন্দা কৃষ্ণ পাসওয়ান বলেন, "আমি এই দিক দিয়ে যাতায়াত করি। দেখতে পাই জালে আটকে অনেকগুলো পাখি মারা গিয়েছে। খুব খারাপ লাগে দেখে। চাষ তো অবশ্যই করবে কিন্তু নজর রাখতে হবে সাথে পাখি যাতে না মারা যায়। না হলে আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে।" কুলচাষী নাজিমা বিবি বলেন, "এই চাষের ওপর নির্ভর করে আমাদের জীবীকা নির্বাহ হয়। জাল না লাগালে ফল নষ্ট হয়ে যাবে। আগে আমার স্বামী পাহারা দিত, পাখিরা এলে ভাগিয়ে দিতো। স্বামিও এই বছর অসুস্থ। প্রথমে পাখি ছিল না, শেষের দিকে এল। আমিও দেখেছি কয়েকটি পাখি মারা গিয়েছে।"
advertisement