উত্তর ২৪ পরগনা: অশোকনগরের জ্বালানি তেলের ভান্ডারই কর্মসংস্থানের পথ দেখাবে!বিপুল পরিমান কর্মসংস্থানের আশায় বুক বাঁধছেন এলাকার যুবক-যুবতীরা। পাশাপাশি তেলের ভান্ডার অনুসন্ধানকালে জমি হারানোর আশঙ্কা করছেন অনেক কৃষক৷ পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্ষতিপূরণের আশ্বাস মিললেও, অনেক কৃষকই তা পাননি বলে অভিযোগ। এদিকে নতুন কর্মসংস্থানের আশা তৈরি হলেও, প্রকল্প এলাকারপার্শ্ববর্তী বসবাসকারীদের চিন্তা অবশ্য অন্য। খনিজ তেলের সন্ধান চালানোর জন্য ওএনজিসি কর্তৃপক্ষ মাটির নিচে ডিনামাইট চার্জ করে বলে অভিযোগ। ফলে একদিকে যেমন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা, অপরদিকে ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে পাকা বাড়িরও। তাছাড়া প্রকল্পের কাজের জন্য এলাকায় প্রতিনিয়ত যাতায়াত করছে বৃহৎ আকারের গাড়ি ও ক্রেন সহ বিভিন্ন যানবাহন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি,এলাকার বহু বাড়িতে দেখা গিয়েছে ফাটল। কাঁচা বাড়ি ভেঙে পড়ারও আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি এলাকার বাসিন্দাদের রীতিমতো আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে, ভবিষ্যতে যদি তাঁদের বাসস্থান ছেড়ে উঠে যেতে হয় তাহলে কি করবেন তাঁরা! যদিও ওএনজিসি তরফ থেকে জানানো হয়েছে, চিন্তার কোনও কারণ নেই। তবুও তাদের মধ্যে একটাই আশার আলো জ্বালানি তেলের ভান্ডার দৌলতে শ্রীবৃদ্ধি ঘটবে এলাকার। কাজ পাবে এলাকার যুবক-যুবতীরা। ইতিমধ্যেই উত্তর 2২৪ পরগনা জেলার অশোকনগরের অর্থনৈতিক মানচিত্র বদলাতে শুরু করছে। কারণ অশোকনগর এলাকার বিভিন্ন জায়গায় মাটির নিচে মিলছে জ্বালানি তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের সন্ধান। গত কয়েক বছর আগে বাইগাছিতে প্রথম তেলের সন্ধান পাওয়ার পর থেকে অশোকনগর জুড়ে চলে পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ। সফলতাও মেলে। বাইগাছির পর অশোকনগরে তেল উত্তোলনের দ্বিতীয় ইউনিট হতে চলেছে দৌলতপুর। শুরু হয়েছে বোরিং এর কাজ। বাইগাছি এলাকা থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে ভুরকুন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের দৌলতপুর এলাকায় ১৫ বিঘা জমির উপর তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলনের এই কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। আপাতত চারটি জায়গায় ওএনজিসি বোরিং করতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। ওএনজিসির এই প্রজেক্টে গ্রুপ বি, সি এবং ডি বিভাগের কাজের জন্য কর্মী প্রয়োজন। এলাকা থেকেই সেই কর্মীদের নেওয়া হবে বলে জানালেন স্থানীয় বিধায়ক নারায়ন গোস্বামী ও প্রজেক্ট এর দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের পক্ষ থেকে। এছাড়াও কৃষকদের থেকে যে সমস্ত জমি নেওয়া হয়েছে তার জন্য কৃষকদের সঠিক মূল্য দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিঁনি৷