ঠিক এভাবেই দুস্থ অসহায় বাচ্চাদের পাশে এসে দাঁড়ালেন এক মানবিক ব্যক্তি। মাত্র চার বছর বয়সে বাবাকে হারিয়েছেন। পরিবারের আয়ের উৎস একটি স্টেশনারী দোকান। ছোটোবেলা থেকেই অভাবের মধ্য দিয়ে বড় হয়ে ওঠার কার অসহায়দের দুঃখ অনুভব করতে পারেন। তাই ৩১ তম জন্মদিন একটু আলাদাভাবে পালন করার উদ্যগ নেয় নিউ ব্যারাকপুর পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বঙ্কিম চ্যাটার্জি রোডের বাসিন্দা অঙ্কন দে মুহুরী (Ankan dey muhuri)। পাশে পেলেন তার দিদি নিতা দে মুহুরীকে। এদিন তার জন্মদিনে স্থানীয় একটি আশ্রমের কচিকাঁচাদের নিয়ে মাতলেন অঙ্কন দে মুহুরী। স্থানীয় কো-অপারেটিভ হোমস লিমিটেডের কর্মচারী অঙ্কন এদিন সকালে দক্ষিণেশ্বর ভবতারিণী মায়ের মন্দিরে পুজো দিলেন। সেখান থেকে তিনি হাজির হলেন নিউ ব্যারাকপুর বিশ্ব সেবাশ্রম সঙ্ঘে। সেখানকার ৫০ জন অসহায় বাচ্চাদের শিক্ষা সামগ্রী প্রদানের পাশাপাশি তাদের হাতে শুকনো খাবার তুলে দিলেন। করোনায় এই অসহায় বাচ্চাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে হয়তো বহু মানুষ তবে এমন এক মহতী দিনে অঙ্কনের এই সাহায্য তাদের এ বিনম্র মুখে খুশির এক বার্তা নিয়ে এসেছে। অঙ্কনের এহেন সেবামূলক মনোভাবে বেজায় খুশি বিশ্ব সেবাশ্রম সংঘের প্রতিষ্ঠাতা সমীরেশ্বর ব্রহ্মচারী। ভবিষ্যতে নিজেকে সেবামূলক কর্মকান্ডে নিয়োজিত রাখতে বদ্ধ পরিকর সমাজসেবী অঙ্কন।
advertisement
রাতুল ব্যানার্জি