তৎক্ষণাৎ সুতোর ধারে ঠোঁটের একাংশ কেটে ঝুলে পড়ে। ঘটনাস্থলে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন কৃষক শিব প্রসাদ ঘোষ। সেই অবস্থাতেই তিনি বাড়িতে গিয়ে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে যান চিকিৎসার জন্য। সেখানে তার ঠোটের নিচের এক অংশে প্রায় ১১ টি সেলাই পড়ে, যদিও অল্পের জন্য বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পান কৃষক। গত এক বছর আগেও এই একই ঘটনায় শান্তিপুরের বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষ থেকে পশুপাখি এই লাইলনের ঘুড়ির সুতোয় আহত হয়েছে। বেশ কয়েকটি পশু পাখিও মারা গেছে। নাইলনের ঘুড়ির সুতো বেচাকেনার বিরুদ্ধে রাস্তায় নামতে দেখা গেছে একাধিক সামাজিক সংগঠনের সদস্যদের। এছাড়াও প্রশাসনের পক্ষ থেকেও করা হয়েছিল একাধিকবার সচেতনতা প্রচার। কিন্তু আইনকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অবাধে চলছে এখনো এই অবৈধ চায়না নাইলনের ঘুড়ির সুতোর কারবার। আজ একই ঘটনায় আবারো শান্তিপুরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মাইকিং প্রচার এর মাধ্যমে শান্তিপুরের বিভিন্ন এলাকায় সচেতনতা প্রচার অভিযান করে। শুক্রবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শান্তিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন কৃষক শিব প্রসাদ ঘোষ। পাশাপাশি শান্তিপুরের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও অবৈধ নাইলনের ঘুড়ির সুতো বন্ধের দাবিতে শান্তিপুর থানায় একটি ডেপুটেশন জমা দেবে বলে জানা যায়।
advertisement
Mainak Debnath