ডোমজুড়ের সলপ বাজারে তার দোকান হলেও , বছর ৬৫ র গোপাল বাবু আদতে হাওড়ার আমতার বাসিন্দা । সেখান থেকে বাবার হাত ধরে রোজগারের তাগিদে প্রায় বছর ৫০ আগে তিনি চলে আসেন ডোমজুড়ের সলপ এলাকায় । সেখানেই খোলেন পান - বিড়ির দোকান । কিন্তু সেই ব্যবসায় বেশ কয়েক বছর ধরে আর্থিক মন্দা দেখা দিলে বাবার কথামতো তিনি শুরু করেন চপের দোকান । সেই থেকেই শুরু হয় তার চপের দোকানের যাত্রা । এক মুখ অমায়িক হাসি মুখে নিয়ে এক টাকায় চপ বিক্রি এলাকায় রীতিমতো জনপ্রিয় করে তোলে গোপালবাবুর চপের দোকানকে । তারপর থেকে দীর্ঘ 30 বছর ধরে এই একই দামেই তেলেভাজা বিক্রি করে চলেছেন তিনি ।
advertisement
দুর্মূল্যের বাজারে আলু , বেগুন , ময়দা , ব্যাসনের মত অনেক গুণ দাম বেড়েছে রান্নার তেলেরও । তবুও কিভাবে এত কম টাকায় এখনও চপ বিক্রি করে চলেছেন এই প্রশ্নে তিনি জানান , " ৩০ বছর আগে বাবার পরামর্শেই এই চপের দোকান শুরু করেছিলাম । সেইসময় বাবা বলেছিল নিজের লাভের পরিমাণ কম রেখে , কম দামে চপ বিক্রি করতে । যাতে গরীব মানুষরা তা খেতে পারে । সাধ্যের মধ্যে এত কম দামে বাঙালির প্রিয় চপ মুড়ি কিনতে পেরে গরীব মানুষের মুখে যে হাসি ফোটে , তার কাছে আর টাকা কি ? " পাশাপাশি যতদিন পারবেন , লাভের পরিমাণ আরও কমিয়ে ওই একই দামেই তেলেভাজা বিক্রি করে যাবেন বলেও জানালেন তিনি ।