হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে অন্যতম প্রাচীন উৎসব হলো এই ছটপুজো। উত্তর ভারতে মূলত বিহার, ঝাড়খন্ড, পূর্ব উত্তর প্রদেশ ও নেপালের বেশ কিছু এলাকায় পালিত হয় এই উৎসব। ছটে প্রধান আরাধ্য দেবতা হলো সূর্য। উদয় ও অস্তগামী সূর্যকে পৃথিবীতে পৃথিবীতে প্রাণের স্রোত বজায় রাখার জন্য ধন্যবাদ ও আশীর্বাদ প্রদানের জন্য প্রার্থনা করা হয়। ছট পুজোয় কোনো মূর্তিপুজো করার নিয়ম নেই।
advertisement
হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথিতে এই ব্রতের প্রথম দিন স্নান-খাওয়ার মাধ্যমে শুরু হয়। ওইদিন ব্রতীরা তাদের ঘর বাড়ি পরিষ্কার করে স্নান করে নিরামিষ খাবার গ্রহণ করেন। ছটপুজোর এই চারদিনের উপবাসে যে কোনও আমিষ জাতীয় ভোজন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এমনকি পেঁয়াজ, রসুন খাওয়াও বারণ ব্রতীদের । দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ খরনার দিন দিনভোর নির্জলা উপবাস পালনের পর সন্ধ্যেবেলা পুজোর পরে ব্রতীদের ক্ষীরের ভোগ গ্রহণ করতে হয় । ব্রতের তৃতীয় দিন কাছাকাছি নদী বা জলাশয়ের ঘাটে গিয়ে অস্তগামী অস্তগামী সূর্যকে দুধ অর্থাৎ অর্ঘ্য নিবেদন করা হয়। ছটপুজোর শেষ দিনে অর্থাৎ কার্তিক শুক্লা সপ্তমীতে সূর্যোদয়ের আগে নারকেল, সমস্ত প্রকার ফল নৈবেদ্য, থালা-বাসন জলাশয়ের তীরে রেখে উদীয়মান সূর্যকে শুদ্ধ মনে অর্ঘ্য অর্পণ করার পর ব্রতীরা তাদের উপবাস ভঙ্গ করেন।