প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন যাবৎ আমেরিকাতেই বসবাস করছিলেন ওস্তাদ জাকির হোসেন। তাঁর শেষ সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টটিও সেই আমেরিকার রাস্তায়। মাত্র ৬ সপ্তাহ আগে করা সেই পোস্টে আমেরিকার রাস্তায় ঘুরে বেড়ানোর সময় পাতায় পাতায় ‘ফল কালারের’ শোভা, আর তাতে মৃদুমন্দ বাতাসের ছোঁয়া উপভোগ করছিলেন তালবাদ্যের জাদুকর।
আরও পড়ুন: পেঁপে কোন দেশের ‘জাতীয় ফল’ জানেন…? ‘নাম’ শুনলেই চমকাবেন, শিওর!
advertisement
জাকির হোসেনের শেয়ার করা এই শেষ ভিডিওতে তাঁর প্রকৃতির সান্নিধ্যে আনন্দ ঘন এক মুহূর্ত যেমন ধরা পড়েছে তেমনই তাঁর চিরকিশোর এক মন ধরা দিয়েছে। সদ্য প্রেমের ছোঁয়া পাওয়া সেই কিশোর যেন প্রকৃতির প্রেমে মিলেমিশে গিয়েছিলেন সেই মুহূর্তে। তাঁর প্রতিটি শব্দে সেই বার্তায় দিয়েছে ওস্তাদজির শেয়ার করা ভিডিওটি।
এই মুহূর্তে ভাইরাল এই ভিডিওতে এক নভেম্বরের বিকেলের অনন্য অনুভূতি যেন প্রকাশ করেছেন ওস্তাদজি। প্রকৃতির সঙ্গে মিলেমিশে যাওয়ার যে সুন্দর মন তা তাঁর ভিডিওতে যেন আরও স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠেছে। এমন একজন সুর-তাল-লয়ের মানুষের এমন এক প্রকৃতি প্রেমিকের এমন অসময়ে চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছেন না তাঁর অগুনিত গুণমুদ্ধ শ্রোতা।
জাকির হুসেন এই বছর গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন:
গত ৬ দশক ধরে তবলা বাজিয়ে আপামর বিশ্বের মন জয় করেছে জাকির। তিনি ছিলেন এককথায় ভারতের সবচেয়ে বিখ্যাত ও জনপ্রিয় তালবাদক। খোদ পণ্ডিত রবিশঙ্কর জাকির হুসেনকে ওস্তাদ উপাধি দিয়েছিলেন। জাকির হোসেনের ব্যান্ড এই বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালেও গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড পায়। ১৯৮৮ সালে পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত হন জাকির হুসেন। তিনি ভারতে এই সম্মান প্রাপ্ত সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তি।
এমন এক ম্যাজিশিয়ানের এমন অকালে ঝরে পড়া যেন মেনে নিতে পারছেন না গোটা ভারতবাসী। জাকির হুসেন রেখে গিয়েছে, তাঁর স্ত্রী আন্তোনিয়া মিনেকোলা এবং দুই কন্যা – আনিসা এবং ইসাবেলা কুরেশিকে। তবলা বাদকের স্ত্রী এবং কন্যাদের ঝলক তার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টগুলিতে প্রায় সময়ই দেখা গিয়েছে।