আরও পড়ুন- কিছুতেই আসছে না ঘুম? গাঢ় ঘুমের চাবিকাঠি শোয়ার আগে এই কয়েকটি যোগাসন!
উত্তর কোরিয়া
উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং বিদেশিরা ছাড়া উত্তর কোরিয়ায় ইন্টারনেট ব্যবহার সীমাবদ্ধ (World Day Against Cyber Censorship 2022)। এর বদলে Kwangmyong নামে একটি জাতীয় ইন্ট্রানেট পরিষেবা এখানে কাজ করে এবং অল্প সংখ্যক নাগরিকের কাছেই তা অ্যাক্সেসযোগ্য। বৈজ্ঞানিক এবং সরকার সম্পর্কিত বিষয়বস্তুর ওয়েবসাইটগুলিকেই এর মাধ্যমে কেবল অ্যাক্সেস করা যায় এবং কেবল উত্তর কোরিয়াতেই এটি কাজ করে।
advertisement
চিন
যাতে দেশের তথ্য বাইরে না যায় বা দেশের ক্ষমতাসীন দলের সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করা না হয় সেই কারণে ব্যাপক ইন্টারনেট সেন্সরশিপ লাগু রয়েছে চিনে। চিনে গুগল, উইকিপিডিয়া, ফেসবুক, টুইটার এবং ইউটিউব অ্যাক্সেসযোগ্য নয়। এমনকি VPN পরিষেবাও নিষিদ্ধ। শাসকের নীতির সমালোচনা করলে নাগরিক এবং সাংবাদিকদের প্রায়ই জেলে বন্দি করা হয়।
ইরান
ইরানে কঠোর ইন্টারনেট সেন্সরশিপ (World Day Against Cyber Censorship 2022) লাগু রয়েছে। সরকার নিজের শাসনের সমালোচনামূলক বিষয়বস্তু, ধর্ম, রাজনীতি এবং নারী অধিকার সংক্রান্ত বিষয়বস্তু ইন্টারনেটে বন্ধ করে দেয়। ইরানে ফেসবুক, টুইটার, টেলিগ্রাম, ব্লগার, স্ন্যাপচ্যাট এবং ইউটিউবের মতো সোশ্যাল মিডিয়াগুলিও ব্লক করা। নেটফ্লিক্সের মতো স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মের পাশাপাশি সংবাদ, খেলাধুলো, বিজ্ঞান এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক, আন্তর্জাতিক কেনাকাটা এবং পর্নোগ্রাফিক সাইটগুলিও বন্ধ এই দেশে৷
আরও পড়ুন- টুথপেস্ট বাছার সময় এই বিষয়গুলি খেয়াল রাখছেন তো? নাহলে অকালে ঘনিয়ে আসবে বিপর্যয়!
সিরিয়া
রাজনৈতিক বিরোধীদের দমন করার প্রচেষ্টায়, সিরিয়ার সরকার দেশে ইন্টারনেটের স্বাধীনতাকে কঠোরভাবে দমন করেছে। নাগরিকদের প্রতি মাসে সীমিত পরিমাণে ডেটা অ্যাক্সেস করার অনুমতি দেওয়া হয় এবং তাঁদের অনলাইন কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করা হয়। শাসকের সমালোচনাকারী সাংবাদিকরা নিয়মিত গ্রেফতার ও নির্যাতনের শিকার হন এখানে।
বেলারুশ
সমস্ত স্বৈরাচারী সরকারের মতোই বেলারুশও ইন্টারনেটে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, যার প্রাথমিক উদ্দেশ্য সরকার বিরোধী বিক্ষোভ এবং গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনকে রোধ করা। অনেক স্বাধীন সংবাদ মাধ্যমকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দেশের বাইরের বাণিজ্যিক ওয়েবসাইট (World Day Against Cyber Censorship 2022) থেকে কেনাকাটাও নিষিদ্ধ।