এই সব সমস্যা এড়ানোর জন্য কী কী করণীয়?
ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন-ডি সমৃদ্ধ খাবারগুলির বিষয়ে সচেতন হতে হবে। কারণ হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে এই ধরনের খাবারই জরুরি। ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবারের তালিকায় পড়বে দুধ, দই, পালং শাক, আমন্ড, সার্ডিন ও স্যামনের মতো মাছ, কমলালেবু, ব্রোকোলি, মাশরুম ইত্যাদি। আর ভিটামিন-ডি সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে অন্যতম হল সার্ডিন, স্যামন, টুনা ইত্যাদির মতো মাছ, কড লিভার অয়েল, ডিমের কুসুম, মাশরুম ইত্যাদি। এর পাশাপাশি সূর্যালোকও কিন্তু ভিটামিন ডি-এর দারুন উৎস।
advertisement
আরও পড়ুন: এবার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোদির তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, আয়োজনে এসএফআই!
হাড়ের ক্যালসিয়াম মিনারেলাইজেশন এবং ডিমিনারেলাইজেশনের জন্য এক্সারসাইজের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি ভিটামিন-ডি এবং ভিটামিন-কে হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। সাধারণ ভাবে আমাদের শরীরে হাড়ের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসে। তাই শরীরকে সক্রিয় রাখা জরুরি। আর এক্সারসাইজ করাটাও খুবই দরকার। এর জন্য হাঁটা যেতে পারে। আবার এক্সারসাইজের এই তালিকায় পড়তে পারে দৌড়ানো, জিম এমনকী নাচও।
বয়স্কদের শরীরে অস্টিওপোরোসিসের মতো সমস্যা দেখা যেতে পারে। এটা পুরোপুরি প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়, তবে এর প্রভাব কিছুটা হলেও কমানো যেতে পারে। কিন্তু কী ভাবে? এর জন্য সঠিক শিক্ষা, পর্যাপ্ত মেডিকেল স্ক্রিনিং এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা জরুরি। এই সবের মাধ্যমেই রোগের চিকিৎসা করতে হবে।
আরও পড়ুন: জমি মাফিয়াদের খপ্পরে, চরম বিপাকে পদ্মশ্রী প্রাপ্ত বাউল শিল্পী পূর্ণদাস বাউল
অস্টিওপোরোসিস হল এমন একটা অবস্থা, যেখানে মহিলাদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত বোন লস হয়ে থাকে। আর এটা হয় মূলত মেনোপজের সময়কার হরমোনঘটিত ভারসাম্যহীনতার কারণে। আবার ৬০ বছর বয়সের উর্ধ্বে থাকা পুরুষদের ক্ষেত্রে হাড়ের দ্রুত ডিমিনারেলাইজেশন প্রক্রিয়ার কারণেই অস্টিওপোরোসিস হয়। এটা প্রতিরোধ করার জন্য সময়ে তা নির্ণয় করতে হবে। মহিলাদের মেনোপজের সময় হরমোনজনিত থেরাপির মাধ্যমে এটা প্রতিরোধ করা যায়। তার জন্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। এর পর ডেক্সা স্ক্যান এবং কয়েকটি রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমেই রোগ নির্ণয় করা সম্ভব।