উত্তরপ্রদেশের আলিগড় আয়ুর্বেদ মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডঃ পীযূষ মহেশ্বরী নিউজ১৮-কে বলেন, শিলাজিৎ হিমালয়ের পাথর থেকে প্রাপ্ত একটি প্রাকৃতিক পদার্থ, যা বছরের পর বছর ধরে জৈব পদার্থের ক্ষয়জনিত কারণে তৈরি হয়। এতে প্রচুর পরিমাণে ফুলভিক অ্যাসিড, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এটি শরীরের কোষে নতুন প্রাণ সঞ্চার করতে পারে এবং রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। আয়ুর্বেদে, শিলাজিৎকে কেবল পুরুষদের জন্যই নয়, মহিলাদের জন্যও টনিক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অনেক দিক থেকেই এটি পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের জন্য বেশি উপকারী বলে বিবেচিত হতে পারে।
advertisement
ডাঃ মহেশ্বরী বলেন, শিলাজিৎ খেলে নারীদের শরীর শক্তিতে ভরে যাবে এবং অনেক সমস্যা দূর হবে। শিলাজিৎ মহিলাদের ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরনের মতো হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে, যা পিরিয়ডের অনিয়ম, পিসিওডি এবং মেনোপজের সমস্যা কমাতে পারে। শিলাজিৎ ক্লান্তি, দুর্বলতা এবং শক্তির অভাবের সমস্যা দূর করে। এটি কর্মজীবী মহিলা এবং গৃহিণী উভয়ের জন্যই খুবই উপকারী। শিলাজিতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের বলিরেখা কমায় এবং বার্ধক্যের প্রভাব কমিয়ে দেয়। শিলাজিতে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং অন্যান্য খনিজ পদার্থের উপস্থিতি হাড়কে শক্তিশালী করে, যা মেনোপজের পরে আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুন : ১ সবজি, ২ ডালের ত্রিফলা সুরক্ষাকবচ! সস্তায় নির্বংশ হয়ে ধ্বংস কোলেস্টেরল-হৃদরোগ-ডায়াবেটিস!
বিশেষজ্ঞদের মতে, শিলাজিৎকে আয়ুর্বেদে একটি রাসায়নিক হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং বলা হয় এটি একটি ঔষধ যা জীবনীশক্তি বৃদ্ধি করে। এটি কেবল পুরুষদের জন্যই নয়, মহিলাদের জন্যও বিভিন্নভাবে উপকারী বলে বিবেচিত হয়। মহিলাদের অল্প পরিমাণে শিলাজিৎ দিয়ে শুরু করা উচিত। এটি হালকা গরম দুধ বা জলের মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে বা খাবারের পরে একবার এটি খাওয়া ভাল। তবে, শিলাজিৎ খাওয়ার আগে মহিলাদের অবশ্যই একজন ডাক্তার বা আয়ুর্বেদিক ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। গর্ভবতী এবং স্তন্যদানকারী মহিলাদের শিলাজিৎ খাওয়া উচিত নয়। যদি কারও হরমোনজনিত গুরুতর সমস্যা বা কোনও দীর্ঘস্থায়ী রোগ থাকে, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া শিলাজিৎ সেবন করবেন না।