গর্ভাবস্থায় কি ভাত খাওয়া উচিত: গর্ভবতী মহিলাদের কী খাওয়া উচিত আর কী নয়, এই নিয়ে একাধিক মিথ রয়েছে। সে সব শুনে চলতে গেলে বিভ্রান্তি বাড়বে বই কমবে না। গর্ভাবস্থায় খাদ্য এবং যত্ন, এই দুটোই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। গর্ভস্থ শিশুকে বাঁচিয়ে রাখতে এবং তাকে ধারণ করে চলার জন্য শরীরের পর্যাপ্ত পুষ্টি প্রয়োজন। সাদা বা বাদামি চালের ভাতের ক্ষেত্রে সাধারণভাবে মনে করা হয়, এতে গর্ভাবস্থায় ওজন বেড়ে যেতে পারে। এর কারণ, অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে সাধারণত বিশ্রাম নিতে বলা হয়। ফলে এই সময়টা শুয়ে বসেই কাটে। শারীরিক পরিশ্রম হয় না। এর ওপর ভাতের মতো কার্বোহাইড্রেট শরীরে গেলে ওজন বেড়ে গিয়ে পরিস্থিতি জটিল হয়ে যাবে বলে মনে করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: কনডোম থেকে লিপস্টিক, ডিটারজেন্ট থেকে চিনি সবতেই থাকে ‘এই’ জিনিস, লিস্ট দেখলে চমকে যাবেন
ডায়েটে ভাত রাখা যাবে কি না: তাহলে কি গর্ভাবস্থায় ভাত খাওয়া উচিত নয়? এর উত্তর হল, অবশ্যই খাওয়া যেতে পারে। চিকিৎসকরা বলেন, গর্ভাবস্থায় ভাত খাওয়া নিরাপদ, তবে পরিমিত। কারণ বেশি ভাত খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা সত্যিই থাকে। পাশাপাশি এটাও সত্যি যে গর্ভবতী মহিলার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ভাত রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। এর কারণ, ভাতে ম্যাগনেসিয়ামের মতো পুষ্টি উপাদান রয়েছে, যা শিশুর উন্নত জ্ঞানীয় বিকাশে সাহায্য করে এবং মায়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখে।\
আরও পড়ুন: ঘুম ভেঙেই খালি পেটে এগুলো খাচ্ছেন? শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে, এখনই সাবধান হন
বিশেষজ্ঞরা কেন ভাত খাওয়ার পরামর্শ দেন: সাদা চাল এবং বাদামি চাল উভয়ই গর্ভবতী মায়েদের জন্য দুর্দান্ত। এর কারণ হল চাল প্রাকৃতিকভাবে ক্যালসিয়াম, ফাইবার, রিবোফ্লাভিন, থায়ামিন এবং ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ। এটা সামগ্রিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং ভাতে থাকা স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেটগুলি শরীরে শক্তি যোগায়। গর্ভাবস্থায় বাদামি চালের ভাত খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এতে হজম ভাল হয়। গর্ভাবস্থায় অনেকেই কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন। তাঁদের জন্যই এই চাল উপকারী। কারণ এতে ফাইবারের পরিমাণ বেশি। তাছাড়া এর কম গ্লাইসেমিক সূচক পরিমিত পরিমাণে খাওয়ার সময় আরও ভাল ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করে।