নভেম্বর পড়তেই শীতের ছোঁয়া মিলেছে বঙ্গে।আর সেই সঙ্গে মানুষের ঘুরতে যাওয়ার প্রবণতাও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে । আধ্যাত্মিকতা ও বিজ্ঞানের একসঙ্গে মেলবন্ধনে তৈরি বক্রেশ্বর। বীরভূমের অন্যতম ঘোরার জায়গা। বলা যায় সারা বছরই তীর্থযাত্রী ও পর্যটকদের খাতায় ভ্রমনের ঠিকানা হিসেবে উপরের দিকে থাকে এর স্থান ।
আরও পড়ুন: ডায়াবেটিস থেকে পিরিয়ডসের ব্যথা, ওজন কমায়! সঠিক নিয়ম মেনে খান কাঁচা পেঁপে!
advertisement
তবে শীত পড়লেই উষ্ণপ্রস্রবনের কারণে এখানে পর্যটকদের ভিড় হয় চোখে পড়ার মত। দুর্গাপুজো থেকে শুরু করে কালীপুজো পুজো। একের পর এক পুজো শেষ হলেও এখনও উৎসবের মেজাজ কাটেনি বঙ্গবাসীর। হালকা শীত, আরামদায়ক আবহাওয়ায় অবসরের সুযোগ মিললেই ঘর থেকে দু পা ফেলে এক দিন বা দুদিনের ট্রিপে ইতিউতি ভিড় জমাচ্ছেন রাজ্যবাসী।
বীরভূমে শান্তিনিকতন, তারাপীঠের পাশাপাশি বক্রেশ্বরও দর্শনীয় স্থান। এটি সতীপীঠ ও একই সঙ্গে শৈবপীঠও। টুরিস্ট গাড়ি গুলি ভরতি করে লোক আসছেন মন্দির দর্শন করার জন্য। এখানকার উষ্ণ প্রস্রবণ মূল আকর্ষণ। এখানে ছেলে ও মেয়েদের জন্য পৃথক পৃথক গরম জলের ঘাট রয়েছে । এই কারণেই এখানে এসে স্নান সেরে পুজো দিতে কারও কোনও অসুবিধা হয় না।
সেখানে পুণ্যস্নান সেরে মন্দিরে গিয়ে পুজো দিচ্ছেন সকলেই । বক্রেশ্বরে ভৈরব মন্দির ও সতীপীঠে প্রচুর তীর্থযাত্রীদের সমাগম লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এছাড়াও বহু পর্যটক ছুটে আছেন কারণ এখানকার যে গরম জল সেই গরম জলে নানান রোগের সমাধান মিলে এমনটাই অন্তত মনে করেন পর্যটকেরা।
সৌভিক রায়