ছোট ঝুলের নিটেড ড্রেসের উপর লম্বা ঝুলের নিটেড ড্রেস:
শীতের মরশুমে সুপার স্টাইলিশ লুক আনতে ল্যুজ-নিট টার্টলনেক এবং ম্যাক্সি স্কার্টের উপরে একটি লংলাইন টিউনিক অথবা সোয়েটার ভেস্ট গলিয়ে নেওয়া যেতে পারে। আর আউটফিটের কালার প্যালেটটা রাখতে হবে বেইজ, ওটমিল অথবা ক্রিমের উপর। আসলে এই মিনিমাল কালার প্যালেট কিন্তু পোশাকের ঝুল এবং টেক্সচারের সঙ্গে দারুন যায়। আর দেখতেও অসাধারণ লাগে।
advertisement
পঞ্চোর মতো করে ওভারসাইজড স্কার্ফ জড়িয়ে নিলেই কেল্লা ফতে:
শীতকালীন ফ্যাশনে লেয়ারিংয়ের জাদু ছড়িয়ে দিতে ওয়্যার্ড্রোবে একটা ওভারসাইজড স্কার্ফ থাকা আবশ্যক। এর জন্য বুকের উপরের অংশে সিমেট্রিক ভাবে অর্থাৎ অনেকটা পঞ্চোর মতো করে জড়িয়ে নিতে হবে স্কার্ফটি। এ-বার স্কার্ফের উপর দিয়ে একটা মানানসই বেল্ট আটকে নিলেই বাজিমাত। আবার ওভারসাইজড স্কার্ফকে ট্রাডিশনাল ভাবেও জড়িয়ে নেওয়া যায়। অর্থাৎ গলার কাছ দিয়ে জড়িয়ে নিয়ে দুই কাঁধে ছেড়ে দিতে হবে স্কার্ফটা।
আরও পড়ুন: প্যান্টিতে কেন থাকে ছোট পকেটের মত অংশ? কারণ জানলে চমকে উঠবেন
বাটন-ডাউনের সঙ্গে স্লিপ ড্রেস কম্বো:
গরম কালে স্লিপ ড্রেস ভীষণই আরামদায়ক। কিন্তু শীতকালে তো তা আর পরা যাবে না। একে বারেই ভুল ধারণা। শীতের মরশুমেও গলিয়ে নেওয়া যাবে স্ট্র্যাপি স্লিপ ড্রেস। কিন্তু কীভাবে। একটা বাটন-ডাউন কিংবা হালকা টার্টলনেট সোয়েটারের উপর গলিয়ে নেওয়া যেতে পারে একটা রঙিন স্ট্র্যাপি স্লিপ ড্রেস। ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচতে পায়ে গলিয়ে নিতে হবে ওপেক টাইটস আর তার সঙ্গে বুট।
ডাস্টার কোটের জাদুতেই ছড়িয়ে যাক উষ্ণতা:
ডাস্টার কোট শীতকালীন ফ্যাশনে চিরন্তন। টাইট জিন্স, টার্টলনেক সোয়েটার এবং হাই-রাইজ বুট পরলে তার উপর ডাস্টার কোট গলিয়ে নিলে লুকটাই যেন বদলে যাবে। এমনকী শাড়ি এবং বুটের সঙ্গেও ডাস্টার কোট টিম-আপ করলে একটা ক্লাসি লুক চলে আসে। আর ঠান্ডা থেকে তো বাঁচায়ই আর ফ্যাশনেও বরাবরই ইন।
ফ্যাশনে ব্লেজার:
অনেকেই আবার আঁটোসাটো পোশাক পরতে পছন্দ করেন না। এমনকী শীতের মরশুমেও না। সে-ক্ষেত্রে ঢিলেঢালা জগার্স প্যান্ট এবং টি-শার্ট পরে নেওয়া যেতেই পারে। কুল এবং ক্যাজুয়াল এই আউটফিটের উপর ক্লাসিক লুক আনতে গলিয়ে নেওয়া যেতে পারে একটি ব্লেজার। আবার ব্যাগি প্যান্ট এবং সোয়েটারের উপরেও পরা যেতে পারে একটি স্টাইলিশ ব্লেজার। হুডির ক্ষেত্রেও এমনটাই করা যেতে পারে। হুডির উপর পরে নেওয়া যেতে পারে একটি জ্যাকেট।
আরও পড়ুন: কিছু খেলেই অ্যাসিডিটিতে ভোগেন? গ্যাস, অম্বলের সমস্যা তাড়াতে আজ থেকেই বদলান এই অভ্যাস
ফ্লোটি স্কার্টের সঙ্গে লম্বা ঝুলের কার্ডিগানে ছড়িয়ে যাক স্নিগ্ধতা:
সোয়েটার ড্রেসের ট্রেন্ড অনেক পুরনো হয়ে গিয়েছে। তার বদলে আধুনিক লুক আনার জন্য বেছে নেওয়া যেতে পারে একটা মিড লেংথ হালকা ফুরফুরে ফ্লোটি স্কার্ট আর লম্বা ঝুলের কার্ডিগান। এর সঙ্গে পায়ে পরে নিতে হবে কালে রঙা টাইটস আর নিউ কাট স্টাইল জুতো।
রাফলড কলার টপের সঙ্গে স্যুট:
লেয়ারিংয়ের ক্ষেত্রে টার্টলনেক হাই রাফলড কলার টপ দুর্দান্ত। স্যুট এবং কোটের সঙ্গে টিম-আপ করলে তো কেল্লা ফতে। আসলে স্যুট-কোটের নিচে সাধারণ টার্টলনেক টপের পরিবর্তে রাফলড কলার টার্টলনেক টপ পরে নিতে হবে। এই বিষয়টাই লুকটা পুরো বদলে দিতে পারে।
গ্রীষ্মকালীন বিডেড টপের সঙ্গে সোয়েটারের কম্বো
গ্রীষ্মকালের পোশাক তো শীতকালে পরা যায় না। তাই শীতের সময় আলাদা আলাদা পোশাক কিনতে হয়। কিন্তু গরমের পোশাকেও শীতের সময় বাজিমাত করা যায়। ধরা যাক, মুক্তোর বিড দেওয়া একটা গ্রীষ্মকালীন ক্রপ টপ রয়েছে। সেটাকে একটা টার্টলনেক সোয়েটশার্টের উপর পরে নেওয়া যেতে পারে। এর সঙ্গে নিচে জিন্স অথবা স্কার্ট গলিয়ে নিলেই দুর্দান্ত দেখাবে। এতে আউটফিটটাই ট্রেন্ডি হয়ে যাবে।
শাড়ির সঙ্গেও লেয়ারিংয়ের জাদু
বিয়ে বাড়ি বা পার্টিতে যাওয়ার সময় শাড়ি ছাড়া সাজের কথা অনেকেই ভাবতে পারেন না। কিন্তু শীতে তো শাড়ি ব্লাউজে বেশ ঠান্ডাই লাগবে। তার জন্য অবশ্য উপায় রয়েছে। কী রকম। শীতে শাড়ি পরার ক্ষেত্রে সাধারণ ব্লাউজ বাদ দিতে হবে। তার বদলে গলিয়ে নিতে হবে থার্মাল টপ। এর উপর চাপিয়ে নিতে হবে একটা ব্লেজার অথবা লং কোট। শুধু শাড়ির আঁচলটাকে গলায় জড়িয়ে সামনে এনে সেট করে রাখতে হবে। পায়ে গলিয়ে নিতে পারেন লম্বা বুট।