ওজন বাড়লে কিছু আশঙ্কাজনক শারীরিক অবস্থা দেখা দিতে পারে। যার মধ্যে হার্টের অসুখ এবং টাইপ টু ডায়াবেটিসও আছে। তবে ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। সকালে উঠে এই ছয়টি কাজ করলে ওজন কমবে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে।
প্রতিদিন সকালে ১২ বার সূর্য নমস্কার:
প্রতিদিন সূর্য নমস্কার করলে হরমোনের সামঞ্জস্য বজায় থাকে, পাচনতন্ত্র ঠিকভাবে কাজ করে এবং অন্ত্র সঠিকভাবে পুষ্টি শোষণ করতে পারে। এছাড়াও সূর্য নমস্কার করলে মানসিক স্বাস্থ্যও ভাল থাকে। এই আসন করলে পেটের কাছে জমে থাকা মেদ গলে যায় এবং ওজনও সামগ্রিকভাবে কমে যায়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ 'ব্যতিক্রমী' এক শাসক নেতা! কুঁড়ে ঘরে বাস, কাঁকড়া ধরেই সংসার চালান তৃণমূল উপপ্রধান
এক হাজারবার কপালভাতি:
কপালভাতি করলে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এবং হজম ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। এর ফলে শরীর থেকে জমে থাকা টক্সিন বা বিষাক্ত পদার্থ বেরিয়ে যায়। এর সঙ্গে জমে থাকা মেদও বেরিয়ে যায়। এছাড়াও কপালভাতি ঋতুস্রাবজনিত সমস্যাও দূর করে।
সার্কাডিয়ান ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং:
এর অর্থ হল কয়েক ঘণ্টা উপোস করে থেকে শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী খেতে হবে। আর সার্কাডিয়ান মানে হল সূর্যাস্তের পর আর কিছু খাওয়া যাবে না। সার্কাডিয়ান ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং বা সিআইএফ করতে হলে সকাল থেকে আট ঘণ্টার মধ্যে যা খাওয়ার খেয়ে নিতে হবে। শেষবার খেতে হবে সূর্যাস্তের ঠিক আগে বা সূর্যাস্তের এক ঘণ্টার মধ্যে। তবে সিআইএফ করলে রাত আটটার মধ্যে খেয়ে নিতে হবে।
আরও পড়ুনঃ মুলতানি মাটি আর দুধ! দামী প্রসাধনী ছেড়ে মুখে লাগান, তফাত দেখবেন কয়েক দিনেই
গরম জল পান করতে হবে:
গরমজল পাচন ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় এবং বাড়তি মেদ কম করতে সাহায্য করে। এছাড়া এই জল গ্যাস, পেট ফোলা, বারবার খিদে পাওয়া এই সমস্যাগুলোও দূর করে।
পর্যাপ্ত ঘুম (৭-৮ ঘণ্টা):
ঘুম যত ভাল হবে ওজন তত দ্রুত কমবে। ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা পর্যাপ্ত ঘুম হলে লিভার ভাল থাকে, হরমোনের সমস্যা দূর হয়।
ওজন কম করার পানীয়, দেখে নেওয়া যাক কীভাবে বানাতে হবে-
জল – ১ গ্লাস
আদা – ১ টা ছোট টুকরো
মৌরি – ১ চা চামচ
জোয়ান- আধ চা চামচ
গোলমরিচের গুঁড়ো- ১টি
এলাচ- ১টি
দারচিনি - ১ টুকরো
ধনে – ২ চা চামচ
লেবু- ১টি
জলে আদার টুকরো, মৌরি, জোয়ান বীজ, গোলমরিচ গুঁড়ো, দারচিনি, ধনে ৩ মিনিটের জন্য ফোটাতে হবে। এবার এতে অর্ধেকটা লেবু মিশিয়ে প্রতিদিন খালি পেটে পান করতে হবে।