ডেকান হেরাল্ড সূত্রে জানা গিয়েছে যে দেশের সব চেয়ে বড়ো টেলিস্কোপ জিএমআরটি-তে চোখ রেখে ৮০০ কোটি বছর আগের হাইড্রোজেন গ্যাসের খোঁজ পেলেন এই দুই বিজ্ঞানী। মোট ৭,৬৫৩টি ছায়াপথ পরীক্ষা করেছেন এই জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। পরীক্ষায় ধরা পড়েছে যে বিগ ব্যাং-এর আগে ওই সব তারায় বর্তমানের চেয়ে আড়াই গুণ বেশি হাইড্রোজেন ছিল।
সায়েন্স জার্নাল নেচার-এ প্রকাশিত হওয়া গবেষণাপত্রটির লেখক আদিত্য চৌধুরি। তারাদের সংখ্যা এত কমে কেন যাচ্ছে, এই প্রশ্ন স্বাভাবিক ভাবেই উত্থাপন করা হয়েছিল তাঁর কাছে। এর উত্তরে চৌধুরি জানিয়েছেন যে অ্যাটমিক হাইড্রোজেনের ক্ষমতা কমে আসছে। নিসিম কানেকর আবার জানিয়েছেন যে আমরা রাতের আকাশে যে সমস্ত নক্ষত্র দেখতে পাই, তার অর্ধেকই কয়েকশো কোটি বছর আগের।
advertisement
এ প্রসঙ্গে বিজ্ঞানী জয়রাম চেঙ্গালুর বলছেন যে, ছায়াপথ নিয়ে গবেষণা আগে থেকেই হচ্ছিল। কিন্তু পারমাণবিক গ্যাস নিয়ে তাঁদের কোনও ধারণাই ছিল না। পারমানবিক হাইড্রোজেন সম্পর্কে বিশদে জানা গেলে ছায়াপথের জন্মতত্ত্ব নিয়েও ধারণা অনেক স্পষ্ট হবে, জানালেন পুনের ন্যাশনাল সেন্টার ফর রেডিও অ্যাস্ট্রোফিজিক্স (এনসিআরএ)-এর এই বিজ্ঞানী।
মহাজাগতিক বিষয় নিয়ে লাগাতার গবেষণা চলছেই। পৃথিবীর বাইরে আর কোনও পড়শি গ্রহে কি রয়েছে প্রাণের অস্তিত্ব? গত শতাব্দী থেকেই এই নিয়েও জল্পনার শেষ নেই। খুব শিগগির বোধহয় মিলতে চলেছে সেই উত্তরও। শুক্র গ্রহে ফসফিন গ্যাসের সন্ধান মিলেছে গত মাসে। প্রাণের হদিশ পাওয়া যাবে কি না, সেই উত্তরও মিলতে চলেছে এই সপ্তাহেই। রোবটসমেত একটি মহাকাশযান এই সপ্তাহেই ঘুরবে শুক্রের চারপাশে। সেখান থেকেই জানা যেতে পারে আদৌ সেই গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে কি না!
প্রসঙ্গত, হাওয়াইএর জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল টেলিস্কোপেই প্রথম মাস খানেক আগে শুক্র গ্রহে ফসফিন গ্যাস পাওয়ার ঘটনা ধরা পড়ে। পরে চিলির আলমা রেডিও টেলিস্কোপ এর সত্যতা নিশ্চিত করে।
