সারা বিশ্বের তাবড় সেলিব্রেটি থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের কাছে এই এবিসিডি দারুন সমাদৃত। কিন্তু কী এই এবিসিডি?
একেবারে শৈশবে ফিরে গেলেই পাওয়া যাবে সন্ধান। ইংরেজি বর্ণমালাকে একটু ঝালিয়ে নিতে হবে শুধু। যেমন ধরা যাক এ-তে অ্যাপল, বি-তে বিটরুট, সি-তে ক্যারট আর ডি-তে ড্রিঙ্ক। অর্থাৎ আপেল, বিট আর গাজর দিয়ে তৈরি এক বিশেষ পানীয়। যা কি না একাধারে এতগুলি উপকার করতে পারে মানুষের।
advertisement
আরও পড়ুন: ছোট গলা ব্লাউজ খুঁজছেন? বিয়ে বাড়ি মাতাতে আপনার হাতে এখন দারুণ হাতিয়ার
জেনে নেওয়া যাক এর গুণাবলী
১. বিশেষজ্ঞরা বলছেন ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থে ভরপুর এই এবিসি পানীয় থেকে শরীর পেতে পারে জিঙ্ক, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, কপার, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ এবং ভিটামিন এ, বি৬, সি, ডি এবং ই-এর মতো পুষ্টি উপাদান। শুধু তাই নয়, এই পানীয়ে রয়েছে ১৫০-৬০ ক্যালোরি। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে যে কোনও হালকা খাবারের পরিবর্তে এই পানীয় গ্রহণ করা যেতে পারে। প্রতিদিনের ডায়েটে এই পানীয় রাখলে ফল মিলতে পারে দারুণ।
আরও পড়ুন: শীতকালে নোংরা কম্বল থেকে দুর্গন্ধ? না কেচেই এভাবে পরিষ্কার করে নিন! চট করে সমাধান
২. ডিটক্স হিসেবে কাজ করে এই রস। সকালে খালি পেটে এই বিশেষ পানীয় গ্রহণ করলে শরীর থেকে দূষিত বর্জ বের হয়ে যেতে পারে। হারানো পুষ্টি ফেরায় এবং শরীরে জলের পরিমাণ স্বাভাবিক রাখে।
৩. প্রয়োজনীয় পুষ্টি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর এই পানীয় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে সামগ্রিক সুস্থতা বজায় রাখে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, প্রতিদিন পানীয় গ্রহণ করলে প্রাকৃতিক ভাবে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা উন্নত হয়। ফ্রি-র্যাডিক্যালের কারণে হওয়া ক্ষতি কমিয়ে কোষের পুনর্জন্মেও সাহায্য করতে পারে।
৪. নিয়মিত পান করলে বার্ধক্যজনিত লক্ষণগুলি হ্রাসের সম্ভাবনাও রয়েছে। কারণ এই তিনটি উপাদানের তৈরি পানীয়ে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি, কে, ই, এ এবং বি-কমপ্লেক্স। এগুলি ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা উন্নত করতে সহায়তা করে তারুণ্য এবং উজ্জ্বলতা বজায় রাখে।
৫. ওজন হ্রাস করতেও এই পানীয় উপকারী। কারণ এটি বিপাক ক্রিয়াকে উন্নত করতে সাহায্য করে। বিপাকীয় হার বৃদ্ধির ফলে ওজন বাড়তে পারে না। এছাড়াও, ফাইবার বেশি থাকা এবং কম ক্যালোরির কারণে পেটের চর্বি গলতে পারে।
পদ্ধতি
এক গ্লাস পানীয় তৈরি জন্য লাগবে প্রায় দেড়খানা আপেল, একটি গাজর এবং আধখানা বিট। এগুলি ভাল করে ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে ব্লেন্ড করে একটি মিহি মিশ্রণ তৈরি করে নিতে হবে। পছন্দ মতো সামান্য আদাও দেওয়া যেতে পারে। ভাল করে ব্লেন্ড হয়ে গেলে রস ছেঁকে লেবুর রস এবং বিটনুন দিয়ে খাওয়া যেতে পারে। চাইলে লেবুর রস নাও দেওয়া যেতে পারে।
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)