বাগেশ্বরের বাসিন্দা কিষাণ মালদা লোকাল ১৮-কে বলেন যে এই পদ্ধতিতে ব্যবহৃত কয়লা বাজারে পাওয়া সাধারণ কয়লার মতো নয়, বরং এটি পাইন বা ওক গাছের কাঠ থেকে তৈরি করা হয়। প্রথমে এই কাঠ আগুনে পোড়ানো হয়। যখন এটি সম্পূর্ণরূপে কয়লায় পরিণত হয়, তখন এটি ঠান্ডা করা হয়। তারপর এই কয়লা ছোট ছোট টুকরো করে ভেঙে দাঁত পরিষ্কারের জন্য ব্যবহার করা হয়।
advertisement
পদ্ধতি খুবই সহজ। আপনাকে আপনার আঙুলের মাঝে একটি ছোট কয়লার টুকরো ধরে রাখতে হবে, এবং তারপর এটি আপনার দাঁতে ব্রাশের মতো ঘষতে হবে। এটি উপরে, নীচে এবং দাঁতের মাঝখানে মাত্র ১-২ মিনিট ধরে আলতো করে ঘষলে জমে থাকা হলুদ ময়লা পরিষ্কার হয়ে যায়। জল বা কোনও টুথপেস্টের প্রয়োজন হয় না। এই রেসিপিটি কেবল দাঁতকে সাদা এবং চকচকে করে তোলে না। এটি দাঁতের শক্তিও বাড়ায়। এতে উপস্থিত প্রাকৃতিক খনিজ পদার্থ দাঁতকে শক্তিশালী করে এবং ক্যাভিটি তৈরি হয় না।
আরও পড়ুন : সব নোংরা চর্বি গলগলিয়ে সাফ! নতুন জীবন লিভার ও অন্ত্রের! সারবে ফ্যাটি লিভার! মাত্র ১০ দিন খান এই গুঁড়ো
আজও, বাগেশ্বরের অনেক গ্রামীণ এলাকায় এই পদ্ধতিটি অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসের সাথে গ্রহণ করা হয়। বিশেষ করে সকালে, লোকেরা দাঁতে এই কয়লা ঘষে তাদের দিন শুরু করে। এই পদ্ধতিটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক, সস্তা এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ামুক্ত। আপনি যদি খরচ না করে দাঁত চকচকে করতে চান, তাহলে অবশ্যই একবার এই পাহাড়ি প্রতিকারটি চেষ্টা করে দেখুন। আধুনিক প্রযুক্তির যুগেও, কখনও কখনও ঐতিহ্যের মধ্যেই আসল সমাধান লুকিয়ে থাকে এবং বাগেশ্বরের এই পদ্ধতিটি এর একটি নিখুঁত উদাহরণ।