জুতো কেনার সময় ওজন এবং পায়ে ফিট হচ্ছে কি না দেখতে হয়: জুতো কেনার সময় মন থাকে ডিজাইনেই। কেতাদুরস্ত কি না সেটাই মূলত দেখা হয়। কিন্তু এটা মারাত্মক ভুল। একজন মানুষের যেমন ওজন এবং ফিটনিসের দিকে নজর দেওয়া উচিত, তেমনই জুতো কেনার সময় সেটাই দেখতে হয়। কারণ হাঁটাহাঁটির জন্য পায়ে ফিট করতে হবে। আবার জুতো ভারি হয়ে গেলে বেশিক্ষণ হাঁটা যাবে না। জামাকাপড় কেনার সময় যেমন ফিটিংস হচ্ছে কি না দেখে নিতে হয়, জুতোর ক্ষেত্রেও তেমনটাই আর কী!
advertisement
আরও পড়ুন: কোলেস্টেরল বাড়ছে? ওজন কমাতে চান? এই ফলের পাতা এভাবে ব্যবহার করুন, চমকপ্রদ উপকার
এক জোড়া জুতোর ওজন কত হওয়া উচিত: দৌড়নোর জুতোর ওজন সাধারণত ১৮৪ গ্রাম থেকে ৩৬৮ গ্রামের মধ্যে হওয়া উচিত। এমনটাই মত নাইকি-র। আর হালকা চাইলে ২২৭ গ্রামের কম ওজনের জুতো নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। আর ভারি জুতোর ওজন সাধারণত ৩০০ গ্রামের বেশি হয়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, মিডসোলের ওজনের কারণেই জুতোর ওজন বাড়া-কমা করে। সাধারণ জুতোর ওজনের ৭৫ শতাংশই মিডসোলের।
আরও পড়ুন: গ্রিন টি ক্ষতিকারক! অধিক মাত্রায় গ্রিন টি পান করলে মারাত্মক বিপদ হতে পারে, জানুন
সঠিক জুতো চোট আঘাত থেকে বাঁচায়: ওজন ঠিক থাকলে পায়ের উপর ভার কম পড়ে। তাই হাঁটাহাঁটির জন্য সঠিক জুতোকে বড় হাতিয়ার বলা হয়। জুতো যদি ঢিলেঢালা হয়, ফিটিং ভাল না থাকে তাহলে হাঁটার সময় বার বার গোড়ালি বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এতে হাঁটু, নিতম্ব এবং পিঠের নিচে চাপ পড়ে। গতিও কমে যায়। জয়েন্টে ব্যথা হওয়ায় বিচিত্র নয়।
পায়ের আঙুলের জন্য কিছু জায়গা থাকা উচিত: জুতোর ভিতর পায়ের আঙুলগুলো নড়াচড়া করতে পারছে কি না, কেনার সময় দেখে নেওয়া উচিত। পায়ের আঙুল এবং জুতোর অগ্রভাগের মধ্যে কিছুটা জায়গা থাকা উচিত। তবেই হাঁটা কিংবা দৌড়নোর সময় পায়ের আঙুলগুলো জুতোর সোলকে সঠিকভাবে আঁকড়ে ধরতে পারবে। তাই খেয়াল রাখতে হবে, পায়ের আঙুলগুলো জুতোর ভিতর যেন চেপে না যায়। ভাল জুতো শিন স্প্লিন্ট, টেন্ডোনাইটিস, গোড়ালির ব্যথা, স্ট্রেস ফ্র্যাকচার এবং অন্যান্য চোট আঘাত থেকে রক্ষা করে।