আরও পড়ুন- কেন এ হিংসা-দ্বেষ? বিশ্বকে বাসযোগ্য করে তুলতে বিশ্ব শান্তি ও সমঝোতার দিন আজ
আমরা যখন শুয়ে থাকি বা নিচু হয়ে বসে থাকি তখন সাধারণত অভিকর্ষের কারণে পায়ের দিকেই রক্ত প্রবাহিত হয়। একবার আমরা উঠে দাঁড়ালে, আমাদের শরীর মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ করার জন্য রক্তকে উপরের দিকে ঠেলে দেয় যাতে এটি সঠিকভাবে কাজ করতে পারে। পায়ের বড় শিরা থেকে রক্ত বের করে আপনার মস্তিষ্কের পাশাপাশি হার্টে সরবরাহ করতে শরীর কিছুক্ষণ সময় নেয়।
advertisement
যখন আপনার ধমনীতে রক্তচাপ নির্দিষ্ট মাত্রার নিচে নেমে যায় সেই অবস্থাকেই হাইপোটেনশন (Hypotension) বা নিম্ন রক্তচাপ (blood pressure) বলে। যাদের সাধারণত দাঁড়ানোর কয়েক মিনিটের মধ্যে রক্তচাপ মারাত্মকভাবে কমে যায় তারা অর্থোস্ট্যাটিক হাইপোটেনশনে ভোগেন।
লক্ষ্য করা গেছে যে ৬৫ বা তার বেশি বয়সী বয়স্ক পুরুষ এবং মহিলারা এতে বেশি ভোগেন। এর কারণ হল, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রক্তচাপ কমে যাওয়ার শরীরের প্রতিক্রিয়া করার ক্ষমতা ক্রমেই স্তিমিত হয়ে যায়।
আরও পড়ুন- এই ৭ উপসর্গ হতে পারে ক্যানসারের লক্ষণ! সময় থাকতেই সতর্ক হন
বিশেষজ্ঞদের মতে, রক্তনালীর মধ্যে তরল ক্ষয়ের কারণেও অর্থোস্ট্যাটিক হাইপোটেনশন হতে পারে। ডায়রিয়া, ওষুধের ব্যবহার এবং বমির জন্য ডিহাইড্রেশনের ফলেও একজন মাথা ঘোরা এবং মাথা ভোঁ ভোঁ করতে পারে।
অন্যদিকে, রক্তাল্পতা বা রক্তে লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা কম হলেও তা অর্থোস্ট্যাটিক হাইপোটেনশনের কারণ হতে পারে। এই অবস্থায় রক্তের প্রবাহে লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা কম থাকার কারণে দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যেতে পারে এবং কেউ কেউ অজ্ঞানও হয়ে যেতে পারেন।
চিকিত্সকদের পরামর্শ, অবশ্যই নিজেকে হাইড্রেটেড রাখতে হবে এবং প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে। যদি কারও ডায়রিয়া বা বমির কারণে শরীর থেকে জল বেরিয়ে যায় তাহলে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়াও মদ থেকে দূরে থাকতে হবে এবং খাবারে বেশি নুন ব্যবহার করাও কমাতে হবে।