মস্তিষ্কের ক্ষতির কারণে ঘটে সেরিব্রাল পালসি (Cerebral Palsy) যার ফলে জন্মের সময় মস্তিষ্কে অক্সিজেনের অভাবের কারণে অস্বাভাবিক বিকাশ ঘটে। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি নিজের পেশীকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। মাতৃত্বকালীন সংক্রমণ, মাথায় আঘাত, জেনেটিক মিউটেশন, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, শিশুর সংক্রমণ এবং মারাত্মক স্ট্রোকের মতো আরও বেশ কিছু কারণেও মস্তিষ্কের বিকাশে সমস্যা (Cerebral Palsy) হতে পারে।
advertisement
আরও পড়ুন- রোজ ৫ মিনিট, মুখের এই কয়েকটি ব্যায়ামেই ঝরবে মেদ, বাড়বে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য
সেরিব্রাল পালসি (Cerebral Palsy) সম্পূর্ণ শরীরকেই প্রভাবিত করতে পারে বা এক, দু’টি অঙ্গকেও প্রভাবিত করতে পারে আবার শরীরের কোনও একপাশেও সীমাবদ্ধ থাকতে পারে। এই রোগে আক্রান্ত শিশু বা প্রাপ্তবয়স্কদের শ্বাসকষ্ট, কথা বলা (oral motor impairment), হজমের সমস্যা, দৃষ্টিশক্তি, শ্রবণ প্রতিবন্ধকতা, মৃগীরোগও হতে পারে। গুরুতর CP আক্রান্ত একজন ব্যক্তির হাঁটা চলার জন্য বিশেষ সরঞ্জাম প্রয়োজন হয়, অনেকেই একেবারেই হাঁটতে পারেন না। মৃদু CP আক্রান্ত ব্যক্তি কিছুটা হাঁটতে পারলেও তাঁরও সাহায্যের প্রয়োজন হয়। এটি মস্তিষ্কের এমন একটি রোগ যা সাধারণত শিশুর জন্মের আগেই ঘটে, তবে জন্মের সময় বা প্রথম দিকেও (প্রথম তিন বছর) হতে পারে। Cerebral Palsy-এর উপসর্গ ব্যক্তিভেদে পরিবর্তিত হতে পারে। নিউরোসার্জন ডাঃ অরুণ শর্মা জানান, সেরিব্রাল পালসি আক্রান্ত শিশুরা (Children with cerebral palsy) হাঁটা বা কথা বলার বয়সে পৌঁছে গেলেও স্বাভাবিকভাবে সেগুলি করতে পারে না। জন্মের সময় হাইপক্সিয়া এড়ানো এবং মা ও নবজাতকের সঠিক যত্ন অত্যন্ত প্রয়োজন।
আরও পড়ুন- রাতে তেষ্টা পেলেই পাশে রাখা গ্লাস থেকে জল খাচ্ছেন? অসুস্থতাকে ডেকে আনছেন অজান্তে
পারস হসপিটালস গুরুগ্রামের পেডিয়াট্রিক্স অ্যান্ড নিওনাটোলজি বিভাগের প্রধান ডাঃ মনীশ মান্নান বলেন, “গর্ভাবস্থায়, প্রসবের সময় বা জন্মের অল্প সময়ের মধ্যে সেরিব্রাল পালসিকে সম্পূর্ণরূপে প্রতিরোধ করার জন্য বর্তমানে কোনও পদ্ধতি নেই। কারণ এই রোগের সঠিক কারণ এখনও পুরোপুরি বোঝা যায়নি। সিপির সম্ভাবনা কমাতে বাবা মা এবং ডাক্তাররা কিছু ব্যবস্থা নিতেই পারেন। বাবা মায়েদের অবশ্যই ভাল অভ্যাস বজায় রাখতে হবে এবং সুস্থ থাকতে হবে।”
তাঁর পরামর্শ, যথাযথভাবে টিকা নেওয়া, স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা, ভ্রূণের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে এমন সংক্রমণ বা ভাইরাসের সংস্পর্শ এড়ানো, মদ্যপান এবং ধূমপান বন্ধ করা শিশুর সেরিব্রাল পালসি আটকাতে কিছুটা সাহায্য করতে পারে।