প্রথমে দু’টির উপকারিতা আলাদা ভাবে জানতে হবে-
কফি
কফিতে রয়েছে ক্যাফিন, যা প্রাকৃতিক উদ্দীপকের কাজ করে। ক্যাফিন কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে প্রভাব ফেলে। ঘুমের ঘোরের নেপথ্যে কাজ করে অ্যাডিনোসাইন জৈবযৌগ। মস্তিষ্কে সেটির রিসেপ্টর অবস্থিত। ক্যাফিন সেই রিসেপ্টরটিকে বন্ধ করে দেয়। ফলে ঘোর কেটে যায়। সতর্কতা বৃদ্ধির পাশাপাশি মনোযোগ বৃদ্ধি করতে পারে কফি। মন-মেজাজ ভাল করে মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ায়। কফি খেলে আরামও পান অনেকে। কিন্তু কফির নেশা হয়ে গেলে সেটি মুশকিল। ক্যাফিনের প্রতি আসক্তি বেড়ে গেলে নির্ভরশীলতা তৈরি হয়ে যাবে। অনেক ক্ষেত্রে হৃৎস্পন্দন বাড়িয়ে উদ্বেগের সমস্যায় অনুঘটকের কাজ করে কফি।
advertisement
ঠান্ডা জলে স্নান
সকালে উঠে হঠাৎ শীতল জলে স্নান করলে শরীরে উত্তেজনা তৈরি হয়। এর ফলে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়, হৎস্পন্দন বেড়ে যায় এবং শরীরে অক্সিজেনের প্রবেশ ঘটে বেশি পরিমাণে। রক্তপ্রবাহের গতি বৃদ্ধিতে মন খুব দ্রুত সতর্ক হয়ে ওঠে। এন্ডরফিন হরমোনের নিঃসরণ ঘটে বলে মন উৎফুল্ল হয়ে ওঠে। কিন্তু কারও কারও জন্য অস্বস্তি তৈরি করতে পারে এই কৌশলটি। আড়ষ্ট ভাব কাটাতে হঠাৎ গায়ে ঠান্ডা জল ঢেলে দিলে ছটফটানি শুরু হতে পারে শরীরে। ক্যাফিনের মতো অত তীব্র অভিঘাতও তৈরি করে না ঠান্ডা জল।