পরিসংখ্যান বলছে প্রতি ৬ জনের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয় ক্যানসারের কারণে। বহু বছর ধরেই কর্কট জটিল ও দুরারোগ্য ব্যাধি হিসেবে ত্রাসের সৃষ্টি করে আসছে। শারীরিক অসুস্থতার চেয়েও বেশি খারাপ হল মনের ভয়টা।
দেখা যায় এই রোগের জন্য অনেক ক্ষেত্রেই দায়ী অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা, খাদ্যাভ্যাস ইত্যাদি। পরিবর্তিত জীবনযাত্রাই এই রোগটিকে আরও বিপজ্জনক করে তুলছে ক্রমাগত। ক্যানসারের লক্ষণ আগে থেকে ধরা পড়লে সহজেই চিকিৎসা করা যায়। গলার ক্যানসার এমন একটি রোগ যার লক্ষণ অনেক আগে থেকেই দেখা দিতে শুরু করে।
advertisement
আরও পড়ুন- মার্চ মাসে আসতে চলেছে নানা উত্থান-পতন! কেমন কাটবে রাশিচক্রের সমস্ত রাশির জাতক-জাতিকাদের?
সিগারেট, অ্যালকোহল, তামাক, গুটখা ইত্যাদির সেবনই মূলত গলার ক্যানসারের জন্য দায়ী। তাই সময়মতো গলার ক্যানসারের লক্ষণগুলোর দিকে মনোযোগ দেওয়া হলে এই মারণ রোগ এড়ানো যায়।
কানে ব্যথা, ঘাড় ফুলে যাওয়া, গিলতে অসুবিধার মতো কিছু লক্ষণের ভিত্তিতে শুরুতেই গলার ক্যানসার সনাক্ত করা যেতে পারে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা করালে নিরাময়ও সহজ।
গলার ক্যানসারের ধরন:
গলার ক্যানসারের লক্ষণগুলো জানার আগে গলার ক্যানসারের ধরনগুলো জানা জরুরি। সেই অনুযায়ী এর উপসর্গও দেখা দেয়। মায়ো ক্লিনিকের মতে, গলায় ৬ ধরনের ক্যানসার হতে পারে।
১. নাসফ্যারিঞ্জিয়াল ক্যানসার—
এটি নাকের ছিদ্র থেকে শুরু হয়। অর্থাৎ নাকের ঠিক পেছনে থেকে শুরু হয়।
২. অরোফ্যারিঞ্জিয়াল ক্যানসার—
এটি মুখের পেছন থেকে শুরু হয়। টনসিলে ক্যানসার এর একটি অংশ।
৩. হাইপোফ্যারিঞ্জিয়াল ক্যানসার—
এটি গলার নিচের অংশ যা খাদ্যনালীর উপরে থাকে।
৪. গ্লোটিক ক্যানসার—
এটি ভোকাল কর্ড থেকে শুরু হয়।
৬. সুপ্রাগ্লোটিক ক্যানসার—
এটি স্বরযন্ত্রের উপরের অংশ থেকে শুরু হয়। এ কারণে খাবার গিলতে অসুবিধা হয়।
৭. সাবগ্লোটিক ক্যানসার—
এটি স্বরযন্ত্রের নিচ থেকে শুরু হয়।
গলা ক্যানসারের লক্ষণ:
১. কফ-
গলার কিছু ক্যানসারে কফ থেকে যায়। দীর্ঘদিন কফ থাকলে তা অবহেলা করা ঠিক না।
২. কণ্ঠস্বর পরিবর্তন-
এটি প্রাথমিক লক্ষণ। যদি দুই সপ্তাহের মধ্যে কণ্ঠস্বর স্বাভাবিক না হয়, তাহলে অবিলম্বে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
৩. গিলতে অসুবিধা-
খাবার গিলতে অসুবিধা হতে পারে, মনে হয় খাবার গলায় আটকে আছে। এটি গলার ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে।
৪. ওজন হ্রাস-
যে কোনও ধরনের ক্যানসারের ক্ষেত্রে ওজন হ্রাস হয়। তাই কোনও কারণ ছাড়াই হঠাৎ ওজন কমে গেলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
৫. কানে ব্যথা-
কানে দীর্ঘদিন ব্যথা হলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
৬. ঘাড়ের নীচে ফোলা-
যদি ঘাড়ের নিচের অংশে ফোলাভাব থাকে, অনেক সময়ই তা ক্যানসারের কারণ হতে পারে। ঠিক কী কারণে ঘাড়ের নিচের অংশ ফুলেছে তা জানতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন ৷)