নতুন বাড়ি, বাড়ির সামনে ছোট্ট বাগান। আর সেই বাগানে সুন্দর সুন্দর ফুলের গাছের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রজাতির গোলাপ লাগানোর প্ল্যান করছেন। পশ্চিম মেদিনীপুরের জকপুরে এই নার্সারিতে এলে মিলবে বেশ কয়েকশো প্রজাতির বিভিন্ন রং-বেরঙের গোলাপচারা। কোনওটি মাটিতে, কোনওটি আবার ধানের তুষ বা স্টোন চিপসে অনায়াসেই বেড়ে উঠবে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুরের জকপুরে রয়েছে পুষ্পাঞ্জলি নার্সারি। এলাকার বাসিন্দা অশোক কুমার মাইতি বেশ কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন প্রজাতির গোলাপের চাষ করছেন। শুধু তাই নয় তাঁর নার্সারিতে রয়েছে শতাধিক প্রজাতির ইন্ডোর প্ল্যান্ট।
advertisement
আরও পড়ুন : পঞ্চভুলে সর্বনাশ ডায়াবেটিসে! দুপুরে খাওয়ার সময়ে এই ৫ ভুলের একটাও হলে হু হু করে বাড়বে ব্লাড সুগার
ইন্ডোর প্ল্যান্টের পাশাপাশি রয়েছে একাধিক বনসাই, বোগেনভেলিয়া, জবা ফুলের বিভিন্ন প্রজাতি কিংবা বিভিন্ন বিদেশি ফলের গাছও। যা সামান্য পরিচর্যায় সারা বছর ধরেই ফল ও ফুল দেয়। সাধ্যের মধ্যে সাধপূরণের অনন্য রসদ এই নার্সারি। রয়েছে অর্কিডের প্রজাতি, ফার্ন জাতীয় নানা গাছ, রয়েছে ক্যাকটাসের বিভিন্ন ধরণ। লাল, নীল, হলুদ-সহ বিভিন্ন রং ও বিভিন্ন আকৃতির ক্যাকটাস রয়েছে এখানে। এছাড়াও পাম জাতীয় উদ্ভিদ রয়েছে এই নার্সারিতে। একাধিক বড় বড় শেড করে বিভিন্ন ইনডোর প্ল্যান্টের ব্যবসা করছেন জকপুরের বাসিন্দা অশোক কুমার মাইতি। বেশ কয়েক দশক ধরে তিনি করছেন এই ব্যবসা।
ইতিমধ্যে তার নার্সারিতে প্রায় ২০০ প্রজাতির ইন্ডোর প্ল্যান্ট রয়েছে। পরিবারের সকলেই যুক্ত এই পেশাতে। সময় পেলে তার স্ত্রীও গাছ পরিচর্যায় হাত লাগান। বাড়ির সামনে বেশ কিছুটা জায়গায় তিনি ইন্ডোর এবং আউটডোর গাছের ব্যবসা শুরু করেছেন। ইতিমধ্যেই বেশ সফল তাঁর এই ব্যবসা। জেলার পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় ক্যুরিয়ার এবং অফলাইনে বিক্রি হয়। দাম রয়েছে ৪০ টাকা থেকে প্রায় ৫০০০ টাকা পর্যন্ত। তাই ঘর সাজাতে হলে পছন্দের গাছ পেতে আসতেই হবে এখানে।