ওজন কমানোর ক্ষেত্রে যে পন্থাই অবলম্বন করা হোক না কেন, প্রথমেই এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে কোনও কিছু খেয়ে বা না খেয়ে পুরোপুরি ওজন কমানো সম্ভব নয় কখনওই। অনেক ক্ষেত্রে ওজন কমার বদলে এমন সময়ে ওজন বেড়ে যায় বা একই থেকে যায়।
আরও পড়ুন-ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’! এ রাজ্যে এর কী প্রভাব পড়বে ?
advertisement
জেনে নেওয়া যাক কোন কোন পানীয় ওজন কমাতে খাওয়া হলেও আদতে তা কোনও কাজ করে না -
আদা, মধু ও লেবুর জল
অনেকেই বলে থাকেন, খালি পেটে আদা, মধু ও লেবুর রস দিয়ে তৈরি সরবত খেলে ওজন কমে। কিন্তু আদতে এমন কোনও ম্যাজিক এই পানীয় খেলে হয় না। তবে, হ্যাঁ এটি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে।
অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার (ACV)
অনেকেরই ধারণা আছে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার ওজন খুব তাড়াতাড়ি কমিয়ে ফেলে এবং রোগা হতে সাহায্য করে। কিন্তু মাথায় রাখা ভালো, এই ভিনিগারের একাধিক অন্যান্য গুণ থাকলেও এটি ওজন কমাতে কোনও বিশেষ প্রভাব ফেলে না। তবে, এটি আমাদের খিদে কমিয়ে দিতে পারে এবং পেট অনেকটা সময় পর্যন্ত ভর্তি রাখতে পারে।
গ্রিন টি
গ্রিন টি খেলে রোগা হয় এমন ধারণাও আছে। আদতে গ্রিন টি খুবই উপকার করে শরীরের এবং শরীর ভালো রাখে। রোজ খালি পেটে সাধারণ চায়ের বদলে গ্রিন টি খাওয়ার আছে অনেক উপকারিতা। কিন্তু এটি ওজন কমাতে তেমন একটা প্রভাব ফেলে না। গ্রিন টি খেলে যা হয়, তা হল মেটাবলিক রেট বেড়ে যায় এবং ওজন কমতেও পারে, ব্যস, এর বেশি আর কিছু নয়।
স্মুদি
স্মুদি স্বাস্থ্যকর পানীয়। শরীরে একাধিক উপকার করে। কিন্তু এটিতে চিনি থাকায় ওজন কমানোর ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই ওজন কমানোর পরিকল্পনা থাকলে স্মুদি না খেলেই ভালো হয়।
আরও পড়ুন-ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ ক্রমশ উজ্জ্বল হচ্ছে, মুম্বই টেস্টের মাঝে হতে পারে দল ঘোষণা
এনার্জি ড্রিঙ্কস
এনার্জি ড্রিঙ্কে সোডা থাকে, সঙ্গে থাকে ক্যাফেইন। যা আমাদের এনার্জি বাড়ায়, কিন্তু শরীরে অন্যান্য ক্ষতি করতে পারে। এতে চিনি থাকায় তা ওজন কমাতে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
জ্যুস
সবজি ও ফলের জ্যুস বানালে তা ফাইবারের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। অনেক সময় রক্তে সুগারের পরিমাণও বাড়িয়ে দেয়।