ডালে ফোড়ন দেওয়ার জন্য হোক বা পাঁচ ফোড়নের ব্যবহার করা, জিরের স্বাদ সমস্ত পদকেই অতুলনীয় করে তোলে। শুধুই কী স্বাদ বৃদ্ধি! নানান শারীরিক সমস্যা দূর করতেও জিরের জুড়ি মেলা ভার। আয়ুর্বেদে জিরেকে স্বাস্থ্যের জন্য আশীর্বাদ হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। পাচনতন্ত্রকে মজবুত করে শরীর থেকে টক্সিন অপসারিত করে জিরে। আবার স্বাস্থ্যের পাশাপাশি ত্বকের জন্যও এটি উপযোগী। জিরের মধ্যে ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়াম, জিঙ্ক ও ফসফরাস অধিক পরিমাণে থাকে। এটি গ্রহণ করলে শরীরে ফ্যাটের শোষণ কম হয়। যার ফলে স্বাভাবিক ভাবে ওজম কমে (Benefits Of Drinking Jeera-Saunf-Dhania Water)।
advertisement
আরও পড়ুন-বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে একাধিক লগ্নির প্রস্তাব, আসছে অনেক দেশের প্রতিনিধিরা
তৈরির পদ্ধতি: এক বড়ো গ্লাস জলে এক চাচামচ জিরে, এক চা চামচ মৌরি এবং কিছু ধনে পাতা সারা রাত ভিজিয়ে রাখতে হবে। সকালে এটা ছেঁকে নিয়ে ফুটিয়ে খেতে হবে খালি পেটে। এর সঙ্গে পুষ্টিগুণ বাড়াতে অল্প নুন এবং পাতিলেবুর রস যোগ করা যায়।
জিরের গুণ: জিরে তামা, আয়রন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি, জিঙ্ক এবং পটাশিয়াম সমৃদ্ধ। ওজন কমানো, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা, হজমের সমস্যা দূর করা, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ এবং রক্তাল্পতা নিরাময়, প্রভৃতিতে দারুণ উপকার দেয় জিরে-জল। জিরে শরীরের ইনসুলিন উৎপাদনকে উদ্দীপিত করে। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। তা ছাড়া, এটা নুনের নেতিবাচক প্রভাবগুলির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
আরও পড়ুন-বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রাজ্যের এই জেলাগুলিতে, জানুন আবহাওয়ার আপডেট
ধনের উপকারিতা: ধনে বীজ ও পাতায় আছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ধনের পুষ্টিগুণ শরীরে ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং হজমক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এ ছাড়াও কিডনি সুস্থ রাখতে, ইমিউনিটি বৃদ্ধিতে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে, রক্তস্রাবের সমস্যা দূর করতে ধনের জুড়ি মেলা ভার।
মৌরির গুনাগুণ: মৌরিতে রয়েছে সেলেনিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং জিঙ্কের মতো খনিজ উপাদান। এগুলি রক্তের প্রবাহে অক্সিজেনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক। এগুলো ত্বকে শীতলতা প্রদান করে। মৌরি বীজ ত্বকের ফুসকুড়ি এবং শুষ্কতা নিরাময়ে সাহায্য করে।
এটি একটি স্বাস্থ্যকর ডিটক্স ড্রিঙ্ক। এই জল পান করলে দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভরে থাকে। দ্রুত ওজন কমাতে চাইলে দিনে ৩-৪ বার এই জল পান করতে হবে। সকালে এই জিরে জল পান করতে হবে ডিটক্সিফাইং ড্রিঙ্ক হিসেবে। মধ্যাহ্নভোজের আগে পেট ভর্তি রাখার জন্য। আবার নৈশাহারের পর পান করে পাচনতন্ত্র মজবুত রাখতে হবে।